লালমনিরহাটে আ. লীগের সদ্যঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবি পদবঞ্চিতদের
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মিছিল করেন।
পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
এর আগে শনিবার দুপুরে ৭১ সদস্যের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূলের মতামত উপক্ষা করে গোপনে নতুন কমিটি গঠন করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে বিএনপি থেকে আসা কয়েকজনকে পদ দেওয়া হয়েছে।
তারা জানান, আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি, সাবেক বিএনপি নেতার ছেলে রফিকুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বিএনপি নেতা মনছুর আলী ও মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরীকে সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চিহ্নিত এক রাজাকারের ছেলেকে দেওয়া হয়েছে সম্পাদক পদ।
গোপনে গঠিত ও ঘোষিত নতুন কমিটি বাতিল করে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মতামত নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতী বলেন, 'আমার বাবা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক সুরুজ ছিলেন আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ। তিনি আদিতমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন। অথচ আমাদের পরিবারের কোনো সদস্যকেই কমিটিতে রাখা হয়নি।'
'আমি ইউপি চেয়ারম্যান, আমার বড় ভাই ইমরুল কায়েস ফারুক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। কিন্তু নতুন কমিটিতে আমাদের নাম নেই,' তিনি বলেন।
'আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েও গোপনে নতুন কমিটি গঠন ও ঘোষণা করা হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নবী হোসেন বলেন, 'মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিএনপি থেকে আসা লোকজনকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। নতুন ঘোষিত কমিটির পদপ্রাপ্তদের অধিকাংশই বিএনপি থেকে আসা।'
'জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং একজন মন্ত্রী গোপন বৈঠক করে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেছে। এ কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন,' বলেন তিনি।
সদ্যঘোষিত কমিটির বিষয়ে মন্তব্য জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও, তারা কল রিসিভ করেননি।
Comments