দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে এখন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সরকার হটানোর। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি নেই তাকে পরাজিত করার। 
qader_0_7_0.jpg
ওবায়দুল কাদের। স্টার ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে এখন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সরকার হটানোর। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি নেই তাকে পরাজিত করার। 

আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপি মসহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিতে সংবিধানে কুখ্যাত আইন প্রণয়ন করেছে। ভুলিনি মির্জা ফখরুল। ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড। জাতীয় নেতাদের খুনিদের তারা (বিএনপি) পুরুষ্কৃত করেছে বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে। আমরা ভুলিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করার জন্য তারা গ্রেনেড হামলা করেছে। বিএনপি আমাদের মারতে চায়, হত্যা করতে চায়। কথায় কথায় বলে ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'লন্ডনে থেকে দণ্ডিত নেতা তারেক রহমান নাকি তাদের নেতা। বিএনপি তাকে নেতা মানতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ তাকে নেতা মানতে পারে না। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিনও পছন্দ করবে না, ঘৃণা করবে। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জেনারেল জিয়াউর রহমান। ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। এ খুনিরা আওয়ামী লীগকে সহ্য করে না। এ দল আওয়ামী লীগকে সহ্য করতে পারে না। শেখ হাসিনাকে সইতে পারে না। লন্ডন থেকে বলে হাসিনা। তুইও বলে তুমিও বলে। বেয়াদবির সীমা আছে!' 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দশে বলেন, 'আজকে খুনের মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে তাদের দলের নেতা ফখরুল আপনিসহ আপনার নেতারা যেসব কথা উচ্চারণ করেন, যেসব ভাষায় কথা বলেন। পতন ঘটাবেন। আল্লাহ যাকে ক্ষমতায় রাখবে, কেউ কি তার পতন ঘটাতে পারবে? পতন আপনাদের হবে। আপনাদের পতন নেতিবাচক রাজনীতির জন্য অনিবার্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাব।'

সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমরা দুজন জমজ ভাই। এক ভাই (ওবায়দুল কাদের) থাকে কোম্পানিগঞ্জে আরেক ভাই (একরাম) থাকে কবিররহাট উপজেলায়। একরামের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। সে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমিও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। নোয়াখালীর মাটি এখন বিএনপির না আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।'

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, 'আপনারা গত ১৩ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন, কিন্তু ১৩ ঘণ্টাও স্থায়ী হতে পারেননি। খেলা হবে। রাজপথে খেলা হবে। আন্দোলনে খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে।'

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু এবং ইব্রাহিম প্রমুখ।

Comments