‘সমাবেশে খালেদা জিয়ার বক্তৃতা দেওয়া মানে মুক্তির আবেদনে মিথ্যা বলা হয়েছিল’

‘সমাবেশে খালেদা জিয়ার বক্তৃতা দেওয়া মানে মুক্তির আবেদনে মিথ্যা বলা হয়েছিল’
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মহানুভবতায় ৪০১ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে ২ শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মহানুভবতায় ৪০১ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে ২ শর্তে তাকে মুক্তি দিয়েছেন৷ তারপরও বিএনপির লোকেরা বলে তাকে "বেইল" দিতে হবে৷ আপনারাই বলেন, মুক্ত মানুষকে কোর্ট কেমনে "বেইল" দেয়?'

বৃহস্পতিবার রাতে জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন৷

আইনমন্ত্রী বলেন, '২০০৭ ও ২০০৮ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল তখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল৷ সে মামলার তদন্ত হয়, এফআইআর ও চার্জশিট হয়৷ প্রতিটা সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের শরনাপন্ন হন৷ নিম্ন আদালত থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত যান তারা৷ আদালত তাকে সাজা দেয়৷'

'জেলে থাকাবস্থায় তার পরিবার থেকে খালেদা জিয়ার শরীর অত্যন্ত খারাপ বলে দরখাস্ত করা হয়৷ আইনের যেকোনো প্রক্রিয়ায় তাকে জেল থেকে ছাড়ার প্রার্থনা করা হয়৷ মনে রাখতে হবে, হাইকোর্ট, আপিল বিভাগে তাকে মুক্তি দেয় নাই, তাকে বেইল দেওয়া হয় নাই, মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি৷

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, 'খবরের কাগজে দেখছি তাকে মুক্তি দিতে বলছেন নেতারা৷ উনি তো মুক্ত৷ উনি ওনার বাসায় আছেন৷ প্রায় সময় চিকিৎসা নেবার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান, চিকিৎসা নিয়ে আবার বাসায় যান৷ ওনাকে মুক্তি দেওয়ার আর কী আছে?'

'নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ওনাকে দিয়ে বক্তৃতা দেওয়াবেন৷ উনি রাজনীতি করতে পারবেন না এমন শর্ত দেওয়া হয়নি৷ কিন্তু উনি হাঁটাচলাও করতে পারেন না এমন কথা বলে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চাওয়া হয়েছিল৷ তিনি যদি সমাবেশে বক্তৃতা করেন তার মানে আবেদনে মিথ্যা বলা হয়েছিল,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই উচ্চস্বরে আইনের শাসনের জন্য লড়াই করতে পারছি৷ বঙ্গবন্ধু অনেকবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে৷ বারবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ আমরা এখন স্বাধীন৷ আমাদের মুখ মলিন হওয়ার মতো কিছু হয় নাই৷ আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি৷ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আইনের সুশাসন দিয়েছেন৷'

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দীন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকাসহ আরও অনেকে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

33m ago