নোয়াখালী আ. লীগের সম্মেলন কাল, উৎসবের আমেজ

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া এই সম্মেলনকে ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।
শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় সম্মেলন শুরু হবে। ছবি: স্টার

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া এই সম্মেলনকে ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।

নোয়াখালী পৌরসভার সোনারপুর-বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের ২ পাশে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীদের ফেস্টুন, ব্যানার, পোষ্টার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানা যায়, আগামীকাল সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হবে। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জেলার ৯টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভা এলাকা থেকে লক্ষাধিক লোকের সমাগমের আশা করছেন জেলার নেতারা।

সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের ২ পাশে ব্যানার, ফেস্টুন পোস্টার আর বড় বড় বিল বোর্ডে বিভিন্ন নেতাদের ছবি ও নাম। সভাপতি পদে আহ্বায়ক এএইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ খাঁন সোহেলের ছবি সম্বলিত পোষ্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী শহীদুল্লাহ খান সোহেল বলেন, 'বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর ৯টি উপজেলা ও  ৮টি পৌর সভার ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ২০১৯ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী ছিলাম এবারও একই পদের প্রার্থী। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো।'

শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, 'নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক কমিটি অতি অল্পসময়ের মধ্যে অত্যন্ত সফলভাবে সবকটি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করতে পেরেছেন। যা বিগত ১৯ বছরেও সম্ভব হয়নি। সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল করিম চৌধুরী দীর্ঘ বছর দলের সাধারণ সম্পাদক পদ আঁকড়ে ধরে রেখে কোনো উপজেলা কিংবা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করেননি। তিনি তার পছন্দের লোকজন দিয়ে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে দলকে ধ্বংস করেছেন।'

সভাপতি প্রার্থী সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এএইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, আগামীকালের সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।

Comments