‘সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছি পদত্যাগের মাধ্যমে’

(উপরে বা থেকে) গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মো. জাহিদুর রহমান, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. হারুনুর রশীদ, (নিচে বা থেকে) মো. মোশারফ হোসেন, আবদুস সাত্তার ভূঞা ও রুমিন ফারহানা। ছবি: জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৭ সংসদ সদস্য আজ রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।

এর আগে গতকাল রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে বলেন, 'আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিতে যাচ্ছি, সকাল ১১টায় জমা দেব।'

তিনি আরও বলেন, 'আপনারা আমাদের ১০ দফা দাবিতে দেখতে পাবেন, প্রথমেই আছে, এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া আমরাই প্রথম শুরু করছি পদত্যাগের মাধ্যমে। আশা করছি বাকি সবাই একে একে পদত্যাগ করতে শুরু করবেন।'

একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য আছেন ৭ জন। তারা হলেন— বগুড়া-৬ আসনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনে মোশারফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আবদুস সাত্তার ভূঞা এবং সংরক্ষিত নারী আসনে রুমিন ফারহানা।

গতকাল বিএনপি দলীয় এমপি হারুনুর রশীদ টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'পদত্যাগের বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্ত। আমি পারিবারিক কারণে অস্ট্রেলিয়ায় আছি। দেশে থাকতেই আমি পদত্যাগপত্রে সই করে এসেছি। আজ সমাবেশ থেকে ঘোষণা হলো।'

রুমিন ফারহানা গতকাল বলেছিলেন, 'ইমেলে স্পিকারের কাছে আমরা ৭ জনই আমাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। আজ অফিস বন্ধ। তাই কাল আমরা সরাসরি সেখানে পদত্যাগপত্র জমা দেবো।'

তিনি আরও বলেন, 'সংসদে আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু বারবার আমাদের মাইক বন্ধ করে দিয়েছিল৷ এই সংসদে থাকা আর না থাকা সমান৷'

উল্লেখ্য, গতকালের সমাবেশে বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ একটি নির্বাচনকালীন সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছে বিএনপি।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago