এই দুর্যোগেও বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ৫ ধাপ এগিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

করোনা মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'অনেক সংস্থা এ কথা বলছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এর মধ্যেও কিন্তু আমরা প্রায় ৫ ধাপ অগ্রগামী হতে পেরেছি। এটাও কিন্তু কম কথা নয়!'

'তবে এটাও মনে রাখবেন, যত বেশি দ্রুত সামনের দিকে এগোবেন তত বেশি চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। অনেকেই তো আছে আমাদের স্বাধীনতা আসুক সেটাই চায়নি। কাজেই আমাদের অগ্রযাত্রাটা অনেকের হয়তো পছন্দ হবে না, যারা আমাদের স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন দেয়নি বা মনে করতে পারে তাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আমরা তা পারি, বলেন তিনি'

আজ মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, '২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার করতে পেরেছি। আমাদের এখানে থেমে থাকলে চলবে না, ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। ২০৪১-এর মধ্যে অন্তত ১২ হাজার মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।'

'এই করোনার জন্য অনেক দেশই পিছিয়ে গেছে। আমরাও একটা ধাক্কা কিন্তু পেয়েছিলাম, আমরা মানুষকে বুঝতে দেইনি। এই করোনাকালে যতগুলো কাজ আমরা করেছি, আমাদের মাঠ প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে,' বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি সরকার গঠন করে বলেছিলাম, আমি সরকারের সেবক। যেটা আমার বাবাও বলেছিলেন। এখানে ক্ষমতা উপভোগ করতে আসিনি—এসেছি দিতে, মানুষের জন্য কিছু করতে। আমরা স্বল্প সময়ের জন্য আসি, ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসি। কাজেই আমাদের হাতে সময় কম। আমাদের কাজ বেশি করতে হবে। সেই কারণে যে কাজগুলো আমি নেব সেগুলো দায়িত্ব মাঠ প্রশাসনের সবার।'

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে যারা কাজ করে যাচ্ছেন সবার মধ্যে আমি লক্ষ করেছি; যে জিনিসটা আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল, একটা আমলাতান্ত্রিক ভাব নিয়ে থাকা না, জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়া, জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়া, আপনারা সেটা হতে পেরেছেন।'

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আজকে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যেতে পেরেছে, করোনা মহামারের মধ্যেও কিন্তু আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল। আমি এ জন্য আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

7h ago