আন্দোলনে গতি ফেরাতে নতুন কর্মসূচির কথা ভাবছে বিএনপি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন গতি হারাচ্ছে এমন আশঙ্কায় নতুন কর্মসূচির কথা ভাবছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের স্পৃহা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে। নেতারা বলেছেন, এখন তাদের পরিকল্পনা ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সেই স্পৃহা পুনরুজ্জীবিত করা।

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলো 'গণতন্ত্র হত্যা' দিবস উপলক্ষে সারা দেশে সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। এখান থেকেই আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেয়। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির সমাবেশ হবে এসব পাল্টা কর্মসূচির প্রতিবাদে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ ৩ নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ৪ ফেব্রুয়ারি মিছিল কর্মসূচি আসতে পারে।

জেলাগুলোতেও একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়েও ভাবছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সোমবার রাতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কীভাবে আরও বেশি বৈচিত্র্যময় করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

সূত্র আরও জানিয়েছে, যুগপৎ আন্দোলনের গতি হ্রাস পাওয়ার প্রভাব কর্মীদের ওপর পড়তে পারে। কর্মীদের হতাশ করতে পারে—শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় উঠে আসে।

যোগাযোগ করা হলে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ডেইলি স্টারকে বলেন, বিএনপি বিভাগগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে উপজেলায় করেছে।

'ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল এবং সমাবেশ সফল হয়েছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল বিশাল জনসমাগম ঘটিয়ে আন্দোলনের পরবর্তী পর্ব ঘোষণা করা হবে। ঢাকার সমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা দাবি রেখে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছিলাম,' বলেন তিনি।

টুকু আরও বলেন, 'প্রতিটি আন্দোলনের পর্যায় রয়েছে এবং প্রতিটি পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সুতরাং, আন্দোলন গতি হারিয়েছে এমনটি সত্য নয়। বরং, কৌশলটি সেভাবেই নির্ধারণ করা হয়েছে।'

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে গত অক্টোবরে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করে বিএনপি।

পরবর্তীতে বিএনপি ৩৮টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।

Comments

The Daily Star  | English

Israeli military says it killed Iran's wartime chief of staff

Israel says conducted 'extensive strikes' in Iran's west, while explosions near Tel Aviv, sirens blare across Israel; smoke rises after explosion in Iran’s Tabriz

4h ago