নির্বাচনে অংশ না নিলে ভেঙে যেতে পারে বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী

তিনি বলেন, `নির্বাচনে না এলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিএনপির বহু লোক আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আলাপ করতে পারে, অন্যান্য দলেও চলে যেতে পারে।’
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুরে এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি ভেঙে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, `নির্বাচনে না এলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিএনপির বহু লোক আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আলাপ করতে পারে, অন্যান্য দলেও চলে যেতে পারে।'

আজ শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুরে এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। 'বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে' এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে না। বিএনপি যাতে আন্দোলনের নামে ২০১৫ সালের মতো তাণ্ডব সৃষ্টি করতে না পারে এবং দেশকে অস্থির করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে না পারে সেজন্যই এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে সচেতন করছি ও সক্রিয় রাখছি। এ সমাবেশ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি যতই আন্দোলন কর্মসূচি করুক, কোনোক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগে ঢাকায় আন্দোলন করত বিএনপি, সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা বিভাগে, জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েছে। আর এখন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কর্মসূচি দিচ্ছে।'

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করছে। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি থেকেও নিরাপদ দূরে থাকছে।'

'আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে জনগণ। জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার। আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না', যোগ করেন তিনি।

শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

Comments