‘ধর’ বললে চৌদ্দগোষ্ঠী দেশে থাকতে পারবে না: শামীম ওসমান

শামীম ওসমান
শনিবার বিকেলে ফতুল্লার কাশীপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে ‘বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শামীম ওসমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, 'আপনারা এত কথা বলতেছেন। পুলিশ বাদ দেন, অতীতের কথা মনে কইরা একবার ধর বললে চৌদ্দগোষ্ঠীর কেউ এই দেশে থাকতে পারবে না।'

শনিবার বিকেলে ফতুল্লার কাশীপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে 'বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে' আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, 'বিএনপির ভাই ও অন্যদের বলব মারামারি-কাটাকাটির দরকার নাই। আসেন সবাই মিলে কাজ করি। আর যদি মারামারি-কাটাকাটি করেন তাহলে আমরাও তো মানুষ। আমাদের যদি অতীতের কথা মনে পইড়া যায়, তাহলে আপনারা যে এত কথা বলতেছেন, পুলিশ বাদ দেন, আমি যদি একবার বলি ধর, তাহলে আপনাদের চৌদ্দগোষ্ঠী এই দেশে থাকতে পারবে না। এইটা আমি জানি কিন্তু। বয়স হইছে, ধৈর্য বাড়ছে।'

লন্ডন থেকে আসা নির্দেশ বিএনপির জন্য ক্ষতিকর হবে বলে মন্তব্য করেন সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশে তিনি বলেন, 'উনি (তারেক রহমান) নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন না। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নিউজ আছে, তারা প্রয়োজনে তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের পর্যন্ত হত্যা করবে। তারা যেকোনো প্রয়োজনে লাশ চাচ্ছে। তারা নির্বাচন করতে চায় না, নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। কারণ জনগণ তাদের সাথে নাই।'

বিএনপি 'আম্মা ও ভাইয়া' গ্রুপে বিভক্ত বলে মন্তব্য করেন শামীম ওসমান। তিনি বলেন, 'আম্মা গ্রুপ নির্বাচন করতে চায়। ভাইয়া গ্রুপ নির্বাচন করতে চান না। যেকোনোভাবে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্য গেম চলছে।'

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সহসভাপতি আশরাফুল আলম, কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলীসহ অন্যান্যারা।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Myanmar solely responsible for creating favourable conditions for Rohingyas’ return: UN

11 Western countries stress lasting solution hinges on peace and stability in Myanmar

23m ago