আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২০, ৮ দোকান ভাঙচুর
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ১৫ জন বিএনপি কর্মী আর ৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
আহতরা লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল, আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এসব এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম।
এদিকে বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বুড়িরবাজার এলাকায় দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ২ দলের নেতারা একে অপরকে এ ঘটনায় দোষারোপ করছেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ৭ জন, আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ও হাতীবান্ধার ফকিরপাড়ায় ক্লিনিকে ৬ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বুড়িরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা জানান, আজ দুপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাধায় তারা দ্রুত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। উভয় দলের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে বিকেলে বাজারের ৮টি দোকানে বিএনপি কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর করে।
তিনি বলেন, 'আমরা কোনো রাজনীতি করি না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।'
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা অভিযোগ করে বলেন, 'পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপি কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। মহেন্দ্রনগর বুড়িরবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে বিএনপি কর্মীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।'
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, 'জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি কর্মীরা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা করেছেন। এতে আওয়ামী লীগের ১৫-২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। মহেন্দ্রনগর বুড়িরবাজার এলাকায় সবার সামনেই বিএনপি কর্মীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করতে বিএনপি এ সব হামলা করেছে।'
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বলেন, 'জেলার বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২ দলের কেউ এখনো কোনো অভিযোগ করেননি। এসব ঘটনায় কেউ আটক করা হননি। মহেন্দ্রনগর বুড়িরবাজার এলাকায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।'
Comments