রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৬

গুলি ও টোটার আঘাতে আহত অন্তত ৩০ জন
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নরসিংদী রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জন নিহত হয়েছে। গুলি ও টোটার আঘাতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

জেলার রায়পুরা এলাকার শ্রীনগর ইউনিয়নের সাইদাবাদ গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে আজও থেমে থেমে চলছে।

নিহতরা হলেন, সায়দাবাদ গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে আমির হোসেন (৬৫) ও বাদল মিয়া (৪৫), শাহীন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), বাঘাইকান্দি গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫), আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০) ও সায়েদাবাদ গ্রামের সিদ্দিক মিয়া (২৬)।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।

রায়পুরার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন পলাশ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সেনাবাহিনীর অপেক্ষায় আছি। সেনাবাহিনী এলেই তাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাব। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।'

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর সাইদাবাদ গ্রামের 'আলীর বাড়ী' ও 'বালিচরবাড়ী'র মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আলীর বাড়ীর নেতৃত্বে আছেন আব্দুল হালিম মাস্টার এবং বালিচর বাড়ীর নেতৃত্বে আছেন সাহেব আলী। গত ৬ মাস থেকে তাদের মধ্যে কয়েকবার হামলা ও পাল্টা হামলা হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। গতকাল বুধবার বিকাল থেকে পুনরায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় তিন জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা সাহেব আলী গ্রুপের লোক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তবে, কতজন কোন গ্রুপের আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিহত তিন জনের মরদেহ স্বজনেরা আমাদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তাদের প্রত্যেকের গায়ে গুলি রয়েছে।'

Comments