বিস্ফোরণের ঘটনায় দায় নেই, নজর একটাই চুরি আর দুর্নীতি করা: মির্জা ফখরুল

আজকের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার গুলিস্তানে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহতের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, 'পর পর তিন দিন বিস্ফোরণ হলো। সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে হলো, চট্টগ্রামে হলো, ঢাকায় গতকালের বিস্ফোরণে ১৯ জন প্রাণ দিয়েছেন। কারও কোনো দায় নেই।'

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সরকার চালাচ্ছো তোমরা। তোমাদের সব প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের দায়িত্ব হচ্ছে এগুলো দেখা যে, সব ঠিক মতো আছে কিনা। সেগুলোর দিকে তোমাদের কোনো নজর নেই। নজর একটাই- চুরি করা, দুর্নীতি করা।'

আজ বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের '১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে' আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সভায় বিএনপি মহাসচিব পঞ্চগড়ের আহম্মদ নগরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে হামলা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, 'পঞ্চগড়ের হামলার ঘটনায় আমাদের জড়ানোর জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন যে, বিএনপিও জড়িত আছে। আমাদের প্রায় দেড় শ মানুষকে সেখানে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পঞ্চগড় থেকে মানুষ বাইরে চলে যাচ্ছে।

'এর উদ্দেশ্যটা কী? উদ্দেশ্য একটাই। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক ঘটনার জন্য দায়ী করে ‍উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়। কিন্তু এখন আর জনগণ তাদের সেই কথা শুনবে না, তাদের সেই মিথ্যা মন্তব্য শুনবে না। তারা খুব ভালো করে জানে যে, আওয়ামী লীগ চক্রান্তমূলকভাবে নিজেরাই এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছ।, তাদের লোকেরাই ঘটিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'ইতোমধ্যে তাদের (সরকার) রেলমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রী যখন সেখানে গেছেন তখন আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকেদের জিজ্ঞাসা করেছেন- এর জন্য দায়ী কে? কারা করেছে?

'তখন তারা বলেছেন, আপনার (মন্ত্রী) পাশে যারা যারা আছে তারাই এজন্য দায়ী। আওয়ামী লীগের লোকেরা করেছে।'

বক্তব্যে সরকারের পদত্যাগের দাবি পুনর্ব্যাক্ত করেন মির্জা ফখরুল। তার ভাষ্য, 'পদত্যাগ না করলে এর ফয়সালা রাজপথেই করা হবে।'

তিনি বলেন, 'আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নাই। এরা সহজে যায় না, এদেরকে ধাক্কা মারতে হয়। আপনারা অনেকে হীরক রাজার দেশে ছবিটা দেখেছেন। ছবিতে কী বলছে- দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। সুতরাং দড়ি ধরে টান মারার সময় এসেছে।'

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

13h ago