দেশে এখন স্বৈরশাসন চলছে: জি এম কাদের

জি এম কাদের
কুমিল্লার টাউন হল মাঠে জাতীয় পাটির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, 'এই দেশকে এখন গণতান্ত্রিক বলা যাবে না। দেশে আজ সত্য কথা বলা যায় না, অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলেন, অথচ দেশে আজ কোনো গণতন্ত্র নেই। দেশে এখন স্বৈরশাসন চলছে।

আজ শনিবার দুপুরে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে জাতীয় পাটির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন জি এম কাদের।

তিনি বলেন, তারা (সরকার) মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, অথচ মুক্তিযুদ্ধ যে কারণে হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করছে না। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না, বরং পক্ষপাতিত্ব হয়।

'বাংলাদেশে সঞ্চয় ও রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে আমরা বাংলাদেশের হিসাব-নিকাশ বিশ্বাস করি না। সরকার সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ করে ফেলছে। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, অথচ সরকারের কোনো খবর নেই। দেশ এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।'

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জাপা সুযোগ নেওয়ার রাজনীতি করে না। আমরা দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করছি। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রত্যাশার রাজনীতি করতে পারি, তাহলে ৮০ শতাংশ মানুষের অনেকেই ভোট দেবে।

সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, 'কাদের ও ফখরুল বলেন খেলা হবে, কিসের খেলা? আপনারা দুর্নীতি, গণতন্ত্র নিয়ে খেলেছেন। এসব খেলা দেশের জনগণ আর চায় না, জনগণ শান্তি চায়। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসুক মানুষ আর চায় না। মানুষ মুক্তি চায়।'

তিনি আরও বলেন, 'দেশে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, মানুষ কিছুদিন পর না খেয়ে মরবে। জাতীয় পার্টি যদি ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণা করা হবে। কুমিল্লাকে নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। গত ৩২ বছর দুইটি দল—জালিম সরকার এই দেশকে শেষ করে দিয়েছে। আমরা চার বার আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করছি। অথচ মানুষ আমাদের দালাল বলে ডাকে। এ সরকার শুধু বিদ্যুৎ খাতে ৯০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে।'

সম্মেলনে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও ওবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh asks India to halt border push-ins, cites security concerns

The move follows reports that BSF pushed in around 300 people into Bangladesh between May 7 and May 9

2h ago