পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা
খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গতকাল শনিবার দুপুরে দলের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় রাতে খুলনা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
খুলনা সদর থানায় উপপরিদর্শক অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা জেলা শাখার সভাপতি আমির এজাজ খান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ৫৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছেন।
মামলায় আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি ও দোকানপাট ভাঙচুর করেন।
পুলিশ বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশি অস্ত্র প্রদর্শন করেন দায়িত্ব-কর্তব্যে বাধা প্রদান এবং হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের মারাত্মকভাবে জখম করেন।
এ ঘটনায় পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে এজাহার উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোনো কর্মসূচি এলেই পুলিশ তা পণ্ড করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কর্মসূচির আগে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হয়েছে। এখন আবার মামলা দিয়ে হয়রানি করবে।'
তিনি আরও বলেন, 'সবাই দেখেছেন কর্মসূচির সময় পুলিশ কীভাবে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে।'
খুলনা মহানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিএনপির কর্মসূচিতে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য সেখানে পুলিশ অবস্থান করছিল। বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ তখন টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়।'
Comments