সংঘাত এড়াতে চাইলে সরকারকে বিরোধী দলগুলোর দাবি পূরণ করতে হবে: ফখরুল
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
জাতীয় সংসদে গতকাল রাষ্ট্রপতি আলাপ-আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন, এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন—গণমাধ্যমকর্মীদের এই প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, 'আমরা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করি। সাংবিধানিকভাবেই তার কাছে খুব বেশি ক্ষমতা নেই। আর আমাদের অভিজ্ঞতাও খুব সুখকর নয়। যখন আমরা সংসদে বিরোধী দল ছিলাম, তখন আমরা নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলাম রাষ্ট্রপতির কাছে। তার কাছে আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে এসেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনোটাই তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তার হাতে সেই ক্ষমতা নেই।'
'আমরা মনে করছি, গতানুগতিকভাবে সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য তিনি পাঠ করেছেন। তারপরও সেখানে একটা কথা আছে, ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লেগেছে, তিনি বলেছেন যে, "গণতন্ত্রবিহীন উন্নয়ন সার্বজনীন হয় না"। আরেকটা কথা বলেছেন, "সংঘাত দিয়ে কখনো গণতন্ত্রের চর্চা করা যায় না"। এগুলো ভালো কথা। যারা চর্চা করছেন, তারা বুঝতে পারছেন গণতন্ত্রের চর্চা নেই। কী করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা যায় তারা সেই চর্চা করছেন,' বলেন তিনি।
গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য সংঘাত-সহিংসতা হলে আলোচনার মাধ্যমে এটাকে সুসংহত করার সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ সরকারের ওপর নির্ভর করে। সরকার যদি চায় সংঘাত এড়িয়ে সামনের দিকে যাবেন তাহলে প্রথমে বিরোধী দলগুলো দাবি পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ পদত্যাগ করে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে।'
বঙ্গবাজারে আজও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ কী বলে মনে করেন জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সরকারের যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে জনগণকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে...অনিয়ম করে শপিং কমপ্লেক্স তৈরি করা—যেখানে আগুন ধরলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে; সরকারে যাদের দায়িত্ব তারা সেই দায়িত্ব পালন করেন না। কারণ তাদের কোনো জবাবদিহি করতে হয় না।'
এই সরকারের কোনো ক্ষেত্রেই কোনো জবাবদিহিতা নেই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, 'তারা নিজেরাই জনগণের কাছে জবাবদিহি করে না। সেই ব্যবস্থাই নেই। সংসদে তারা নির্বাচিত নয়, সেই কারণে তাদের এই অবস্থা। মোট কথা হচ্ছে, সরকারের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা, জনগণের প্রতি উদাসীনতা এবং সব কিছুকে গায়ের জোরে চাপানোর যে চেষ্টা—সেই চেষ্টা থেকেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে।'
Comments