পাবনায় আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ জনসহ আহত ১০

হেমায়েতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। 
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নের চরবাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতদের মধ্যে হাবু সরদার (৫০), ইসহাক প্রামানিক (৪৫), মামুন হোসেন (৩০), সেলিম মন্ডল (৪০), হামিম হোসেন (১২), সবরুল শেখকে (৪০) পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ছিল। সভায় এক নেতার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল তৈরি হয়।

হেমায়েতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকালের হট্টগোলের জের ধরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুজিব বাঁধ এলাকায় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজু মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।'

তিনি জানান, সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয় এবং তাদের মধ্যে ৫-৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত হাবু সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, 'দুপুরে আমরা কয়েকজন মুজিব বাধ এলাকায় একটি দোকানে বসেছিলাম। সেখানে নাজু মন্ডলের লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।'

ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় ছানাউল্লাহ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।'

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

তবে জানতে চাইলে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল আলী মাসুদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নাজু ও আনিসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। জমি এবং বালু ব্যবসা নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ আছে।'

'এটা একেবারেই তাদের ব্যক্তিগত এবং স্থানীয় বিরোধ। এই সংঘর্ষের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই,' দাবি মাসুদের।
 

Comments