প্রধানমন্ত্রী আমাদের লজ্জায় ডুবিয়েছেন: আমীর খসরু

নোয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: স্টার

স্বাধীনতার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ধের কোনো ইতিহাস নেই। এবার শেখ হাসিনা আমাদের লজ্জায় ডুবিয়েছেন। তার ভোট চুরির পরিকল্পনার কারণে ভিসা নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এটা আমাদের দেশের জন্য চরম লজ্জার।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে এই কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নোয়াখালী প্রেস ক্লাব সড়কে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকার পতনের একদফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না এবং নির্বাচন হতেও দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই ১৮ কোটি জনগণকে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিক্রি হয়ে গেছে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে। এদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার পতনের পর। এই অনির্বাচিত সরকারকে সাগরের ঢেউয়ের মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাবে জনগণ।

বিএনপিকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে আনার জন্য আওয়ামী লীগ 'তলে তলে' কাজ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে এই খেলা চলবে না। সরকারের কিছু দালাল গণমাধ্যম আছে। রাজনীতির মাঠে কিছু দালাল আছে। পেশাজীবীদের মধ্যেও কিছু দালাল আছে। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীও রয়েছেন। তারা কোনোমতে বিএনপিকে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বাহানা করছেন।

সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, শিল্পপতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago