‘এখনো বিএনপি করস কোন সাহসে’

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হোসেন ওরফে রকি। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবদলের ৪ নেতা মারধরের শিকার হয়েছেন। শনিবার রাতে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী তাদের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পেটায় বলে অভিযোগ বিএনপির।

মারধরের শিকার মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হোসেন ওরফে রকি, ইউনিয়ন যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক আল আমিন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি কামাল হোসেন ও একই ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ওবায়দুল হোসেন বলেন, 'শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রূপসী থেকে মুড়াপাড়া ফেরার পথে আফতাব ফিড প্রোডাক্টস কারখানার পাশের সড়কে আমাদের বহন করা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থামায় ৩টি মোটরসাইকেলে থাকা কয়েকজন তরুণ। ইজিবাইক থেকে নামিয়ে তারা প্রথমে আমাদের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। আমরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জানার পর তারা পেটাতে শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে আরও ২০-২৫ জন এসে যোগ দেয়।'

'মারধর করার সময় তারা বলছিল "এখনো বিএনপি করস কোন সাহসে?" এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলেন হামলাকারীদের একজন। তারপর আমাদের ৪ জনকে ওই এলাকায় থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজের (তানজীর আহমেদ রিয়াজ) কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরা না যেতে চাইলে তারা আবারও আমাদের রাস্তায় ফেলে লাঠিসোটা দিয়ে পেটায়। আমার শার্ট রক্তে ভিজে গেলে তারা আমাদের ফেলে রেখে চলে যায়।'

হামলাকারীদের কাউকে চিনতে না পারলেও তাদের বয়স ১৮-২৫ বছরের মধ্যে বলে জানান ওবায়দুল।

জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজীর আহমেদ রিয়াজ এই হামলার ঘটনায় 'সম্পৃক্ত নন' বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, 'আমার কোন কর্মী এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয়। আমি এই ঘটনার বিষয়ে জানিও না।'

এদিকে হামলার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা বিএনপি ও যুবদল। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।

জানতে চাইলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, 'বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারি দলের হামলা চলছে। মামলা করতে গেলে উল্টো পুলিশ হয়রানি করে। এই কারণে মামলা করব না।'

এ বিষয়ে কথা বলতে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

তবে পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, এমন ঘটনার ব্যাপারে তাদের কেউ জানায়নি। এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Freedom fighter’s definition: Confusion, debate over ordinance

Liberation War adviser clarifies that Sheikh Mujib, Tajuddin, others in Mujibnagar govt are freedom fighters

13h ago