না.গঞ্জে বিএনপির অনুষ্ঠানে আ.লীগের হামলার অভিযোগ, আহত ৯

এ ঘটনায় দলের অন্তত ৯ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার দুপুরের এ ঘটনায় দলের অন্তত ৯ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

তাদের অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাসুম চৌধুরী অপু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আশফাকুল ইসলাম তুষারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এই সময় তারা মঞ্চ ভাঙচুর করেন এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধর করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু মোহাম্মদ মাসুম বলেন, জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মাঝিনা এলাকায় আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান।

'দুপুর ১২টার পর অনুষ্ঠান শেষ হয়। নেতা-কর্মীরা যখন অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করছিলেন তখন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র হাতে হামলা চালায়। তারা মঞ্চ ও অনুষ্ঠানস্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধর করে', যোগ করেন তিনি।

হামলায় রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ, সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিব হাসান, কাঞ্চন পৌরসভা যুবদল নেতা খায়রুল ইসলাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, ভোলাব ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সজল মিয়া, উপজেলা যুবদল নেতা শাহাদাত হোসেন, আমির হামজা, ফরহাদ ভূইয়া, নূর হাসান বাবুল আহত হয়েছেন বলে জানান নেতারা।

জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাসুম চৌধুরী অপু বলেন, 'বিএনপির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের এমপির নামে উল্টা-পাল্টা বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল। আমরা এর প্রতিবাদ করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তখন আমরা তাদের ধাওয়া দিই।'

একই কথা বলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশফাকুল ইসলামও।

তবে হামলা বা ভাঙচুরের কোন খবর পাননি বলে জানান রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, 'হামলার কোনো অভিযোগ কেউ করেননি। পুলিশের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments