সংবিধানে কোথাও লেখা নেই কী হলে নির্বাচন একতরফা হবে: কাদের

আগামী সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে
ওবায়দুল কাদের
বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

নির্বাচন নিয়ম মতো হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, 'সংবিধানে কোথাও লেখা নেই এটা হলে একতরফা হবে, ওটা হলে অংশগ্রহণমূলক হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'কাউকে বাদ দিয়ে ইলেকশন করার অভিপ্রায় সরকারের নেই।'

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেতু ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, 'নির্বাচন নিয়ম মতো হবে। সংবিধানে কোথাও লেখা নেই এটা হলে একতরফা হবে, ওটা হলে অংশগ্রহণমূলক হবে। ইলেকশন ইলেকশনই। ইলেকশনের নিয়মটা সংবিধানে সন্নিবেশিত আছে। নিয়ম অনুযায়ী ইলেকশন হবে। কাউকে বাদ দিয়ে ইলেকশন করার অভিপ্রায় সরকারের নেই। আমরা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই।'

সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই নির্বাচনে আসবে না—এটা আসন বাড়ানোর চেষ্টা নাকি আসলেই তারা বিরোধিতা করছে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আসলে তারা তো নিজেরাই বলে যে, "আমরা সরকারের দালাল হয়ে গেছি", তাদের নেতারাই বলেছে। এখন তারা এই অপবাদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চায়। হয়তো সেই কারণে।'

ঢাকা শহরের প্রান্তিকে ও শহরের বাইরে যাওয়ার জন্য সার্কুলার লেন নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণের পরপরই আমাদের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ বিশ্ব সংকটে নিজেদের টিকিয়ে রাখা। আমাদের অর্থনীতি...সারা দুনিয়ার মতোই আমরাও সংকটে পড়েছি—দ্রব্যমূল্য, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি; আমাদের অর্থনীতি যে সংকটে পড়েছে, আমি যদিও বলি এটা আমাদের সাময়িক বিপদ এবং আজকে বিশ্বে জ্বালানি ও জাহাজ ভাড়া আস্তে আস্তে কমতে শুরু করছে। আমরা আশা করছি, আগামী ৪ থেকে সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে ইনশাল্লাহ আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।'

'আজকে জনগণের জীবন রক্ষা করা আমাদের প্রথম কর্তব্য। এ সময় আমরা বড় বড় কোনো প্ল্যান কার্যকর করতে পারছি না। তবে আমাদের পরিকল্পনা আছে, পরিকল্পনা আমরা বাদ দেইনি। সংকটটা একটু স্বাভাবিক হলে আমরা আবারো এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করব,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

1h ago