নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল: ওবায়দুল কাদের

কেরাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল।'

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, 'আপনারা ধমক দেন, বলেন নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে মির্জা ফখরুলকে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'নিষেধাজ্ঞায় ভেনেজুয়েলায় সরকারের পতন হয়নি। তাদের রাজধানী শতকরা ৮০ ভাগ এলাকা গানম্যানদের দখল করে। নিষেধাজ্ঞায় সেখানে কোনো কাজ হয়নি। নিষেধাজ্ঞার পরও ফিলিস্তিন ভেসে গেছে রক্তে। ইজরাইলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ তো বন্ধ হয়নি। নিষেধাজ্ঞায় সুদানে দুই জেনারেলের যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। আপনাদের নিষেধাজ্ঞায় সোমালিয়ায় প্রতি মিনিটে ১ জন মানুষ না খেয়ে মরে। বন্ধ করতে পারেননি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পারেন না গ্যাবনের বিদ্রোহ দমন করতে। কারফিউ জারি করে ভোট বন্ধ করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না, আপনাদের নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না।'

'নিষেধাজ্ঞার ভয় আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, যারা রক্ত দিয়ে মাতৃভূমির বিজয়ের পতাকা উড্ডীন করেছি, একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের থামাতে পারেননি। আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আমরা পরোয়া করি সংবিধান। আমরা কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না, মানবো না,' যোগ করেন তিনি।  

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বক্তৃতা করতে দাঁড়ালেই মির্জা ফখরুলের চোখে কেবল কান্নায়। কান্নায় বুক ভেসে যায়। কত মানুষকে কাঁদিয়েছেন আপনারা। আপনারা ক্ষমতায় থাকতে কান্নায় ভারী করিয়েছেন। এখন নিজেরা কাঁদেন। আরও কান্না আছে। কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ দরিয়া হয়ে যাবে। তবুও আপনাদের ক্ষমা নাই।'

তিনি আরও বলেন, 'পিতৃহত্যার প্রতিশোধ, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেব। বঙ্গবন্ধুকে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছেন। খুনিদের বিচার করেননি, ক্ষমা করেছেন। আপনাদের ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। একজন কাঁদে আর মির্জা আব্বাস খুলনায় দাঁড়িয়ে বলেন, আজ চাঁদরাতের আনন্দ। কিছু লোকজন দেখে মির্জা আব্বাস আপ্লুত হয়ে চাঁদরাত দেখেছেন। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দেখতেছেন।'

সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'খেলা হবে, কেরানীগঞ্জে খেলা হবে। এটা খেলার আসল মাঠ। কেরানীগঞ্জের মাটি, দুর্জয় ঘাঁটি। খেলা ভালো করে হবে, ক্যাপ্টেন আসতেছেন, এখন আছেন ওয়াশিংটনে। জাতিসংঘের অধিবেশন শেষ করে ক্যাপ্টেন আসছেন। তৈরি হয়ে যান। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পতাকা হাতে বিজয়ের মিছিল হবে।' 

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের চোখে খালেদা জিয়ার জন্য কান্না। ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার জন্য আপনারা আন্দোলনে ৪৮ মিনিটও দাঁড়াতে পারেননি। শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া আজ বাসায়। রেডি হয়ে যান ফখরুল সাহেব। আওয়ামী লীগের কর্মীদের কারও গায়ে, বাড়িতে আঘাত লাগলে, পাল্টা আঘাত করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।' 

'সারা বিশ্বেই দ্রব্যমূল্য বেড়েছে' উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সব দেশেই বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। এতে আমাদের কোনো দোষ নেই। এর কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। আমরা দোষ না করেও শাস্তি পাচ্ছি। আমি দোষ না করেও আমার জনগণ শাস্তি পাচ্ছে। আমি আশ্বস্ত করছি, এ দুঃসময় কেটে যাবে।'   

 

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

BB buys $313m more from 22 banks

Bangladesh Bank purchased another $313 million from 22 commercial banks in an auction yesterday, reacting to the sharp drop in the US dollar rate.

8h ago