রাজনীতি

রেলস্টেশনে মুরাদ হাসানের বাবার স্মৃতি সংসদ, নোটিশ দিয়েও সরানো যাচ্ছে না

জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনের জমিতে বাবার নামে স্মৃতি সংসদের কার্যালয় করেছেন পদ হারানো সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। রেলওয়ের জমি থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও এই কার্যালয়টি রয়ে গেছে। এ কারণে স্টেশনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনের ভেতরে এই ঘরটি মুরাদ হাসানের বাবার স্মৃতি সংসদ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছবি: স্টার

জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনের জমিতে বাবার নামে স্মৃতি সংসদের কার্যালয় করেছেন পদ হারানো সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। রেলওয়ের জমি থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও এই কার্যালয়টি রয়ে গেছে। এ কারণে স্টেশনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা যাচ্ছে না।

রেলওয়ের জমিতে টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরটি তৈরি করেছিল সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ। শুরুতে এটি দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ভবন ভেঙে ফেলার চিঠি দিলে দলীয় অফিস সরিয়ে নেওয়া হয়।

সরিষাবাড়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নোটিশ পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থানান্তর করেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জায়গাটি ইজারা নিয়েছিল মুরাদ হাসান। তাই ঘরটি তার কাছে হস্তান্তর করেছি।'

এরপর থেকেই মুরাদ হাসান ভবনটিতে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান স্মৃতি সংসদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। মতিউর রহমান ছিলেন মুরাদের পিতা।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের সীমানার ভেতরে সব অবৈধ স্থাপনা সম্পূর্ণ ভেঙে দিলেও অজ্ঞাত কারণে মতিউর রহমান স্মৃতি সংসদের কার্যালয় রয়ে গেছে।

জামালপুর রেলওয়ের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজাউল ইসলাম বলেন, 'আমরা তাদের একাধিকবার নোটিশ দিয়েছি। তবু তারা সরে যায়নি। এ কারণে আমরা সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ করতে পারিনি।'

সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী আসরাফুল আলম মানিক জানান, সীমানার ভেতরে ভবন থাকায় রেলওয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ করা যায়নি।

অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান স্মৃতি সংসদের সভাপতি আজমত আলী মাস্টার বলেন, তিনি এ বিষয়ে তিনি তেমন কিছু জানেন না।

মুরাদ হাসানের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

অশালীন ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান। সে সময় তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়। পরে অবশ্য 'দলের প্রধানকে বিব্রত করতে পারে ভবিষ্যতে এমন কিছু করবেন না' বলে অঙ্গীকার করায় ক্ষমা পান তিনি।

Comments