নাটোর

এমপি শিমুলের সমর্থক ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পৌর কাউন্সিলরসহ আহত ৭

জেলা শহরের হরিশপুর টার্মিনালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: ভিডিও

নাটোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পৌর কাউন্সিলরসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকালে জেলা শহরের হরিশপুর টার্মিনালে নাটোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রানা হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম কোয়েল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। 

তারা দুজনই স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী বলে পরিচিত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে হরিশপুর বাস টার্মিনালে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর রানা হোসেন ও তার সমর্থকরা এবং রাশেদুল ইসলাম কোয়েল পৃথকভাবে অবস্থান নেন।

একপর্যায়ে সেখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়পক্ষ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে এবং অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

সংঘর্ষে কাউন্সিলর রানা আহমেদসহ তার গ্রুপের ৭ জন আহত হন।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে আশিক ও জাহিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

যোগাযোগ করা হলে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থকদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কাউন্সিলর রানাসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।'

সংঘর্ষে অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'আমি দেখিনি এবং জানিও না এ বিষয়ে।'

আহত রানা হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির ডাকা অবরোধ প্রতিহত করতে সকালে যুবলীগ সভাপতি বাশিরুর রহমান এহিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা হরিশপুর টার্মিনালে অবস্থান নেই। হঠাৎ কোয়েল এসে আমার ও আমার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়।'

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাশিদুল ইসলাম কোয়েল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ ঠেকাতে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে মাঠে আছি। তিনদিন ধরে ভোরে আমরাই বের হই এবং রাস্তায় থাকি। আজ হাফরাস্তা এলাকায় এক বিএনপি কর্মীকে আটক করি। পরে কাউন্সিলর রানা ফোন দিয়ে বলে ওই বিএনপিকর্মী মিলন তার দুলাভাই, তাকে ছেড়ে দিতে হবে।'

'পরের হরিশপুরে আমরা যাই এবং বাগবিতণ্ডায় কয়েকজন আহত হয়। কে কাকে মেরেছে বলতে পারব না। আমার নেতাকর্মীদের কারও কাছে কোন অস্ত্র ছিল না, তবে লাঠিসোটা ছিল,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান এহিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে, আমি তাদের হাত থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নিয়ে থামানোর চেষ্টা করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Coal-fired power plant shutdowns in Bangladesh

Now coal power plants scaling back production

Coal-fired power plants are dialling down production or even shutting down due to financial, legal or technical issues, leading to power cuts across the country, especially the rural areas.

11h ago