৬ দিনের রিমান্ডে আমীর খসরু ও জহির উদ্দিন

তাদের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আমির খসরু
আদালতে আমির খসরু। ফাইল ছবি।

পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তাদের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর ফকিরাপুল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে মারা যান মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা নিবাসী পারভেজ। 

আজ শুক্রবার ডিবির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আমীর খসরু মাহমুদ ও জহির উদ্দিন স্বপনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাকি আল ফারাবী এই আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমীর খসরু ও স্বপন এফআইআরভুক্ত আসামি এবং কনস্টেবল হত্যার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সুতরাং হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র খুঁজে বের করতে এবং অপরাধের জন্য দায়ী অন্যান্য অভিযুক্তদের অবস্থান জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া দরকার।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আমীর খসরু আদালতকে বলেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি দাবি করেন, তাকে শুধু হয়রানি করার জন্য এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।

আসামিপক্ষের পক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিন দেওয়ার আবেদন করা হয়।

আসামিপক্ষ আরও দাবি করে, রাজনৈতিক হয়রানির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদেরকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দেখানো হয়েছে।

উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ম্যাজিস্ট্রেট আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করেন এবং রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা।

গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় স্বপনকে।

২৮ অক্টোবরের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে আরও ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার প্রধান আসামিসহ এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা এখন রিমান্ডে আছেন।

Comments