এনআইডির তথ্য জালিয়াতি করে বিএনপি নেতাদের নামে মনোনয়ন কেনাচ্ছে সরকার: রিজভী

‘জনগণের রক্ত ঝরিয়ে, লাশের ওপর দিয়ে হলেও সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।’
এনআইডির তথ্য জালিয়াতি করে বিএনপি নেতাদের নামে মনোনয়ন কেনাচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী | ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য জালিয়াতি করে বিএনপি নেতাদের নামে  সরকার মনোনয়ন ফরম কেনাচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ মঙ্গলবার রাতে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালে নানা ফন্দি আমরা দেখেছি। দমন-পীড়নের নানা ধরনের মাত্রা আমরা দেখেছি। এবারও আমরা নানা ফন্দি-ফিকির, জালিয়াতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। আপনারা জানেন, দেশের মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকার হ্যাক করে নিজের কাছে রেখেছে এবং এটা দিয়েই তারা প্রতারণা করার চেষ্টা করছে।

'জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য থাকায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে ফরম কেনাচ্ছে, অথচ তারা জানেই না। কারণ এটার কর্তৃত্ব সরকারের হাতে। যখন এই ঘটনাটি প্রকাশ পায় যে, বাংলাদেশের মানুষের ন্যাশনাল আইডি কার্ড থেকে সব তথ্য সরকার নিয়ে নিয়েছে, এটা নিয়ে দেশ-বিদেশে যারা রাইট টু প্রাইভেসিতে বিশ্বাসী—এর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন,' বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন জানেন না তার নাম দিয়ে ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।'

তিনি বলেন, জনগণের রক্ত ঝরিয়ে, লাশের ওপর দিয়ে হলেও সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। সরকার কোনোভাবেই মানতে চায় না একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যাতে সবটাই সরকারের অনুকূলে যায়।

তিনি বলেন, '২৮ অক্টোবর আমরা ভিডিও ক্লিপে দেখতে পেয়েছি, রায়টকার থেকে ককটেল ছোড়া হচ্ছে, পুলিশ লাইনের ভেতর থেকে ককটেল ছোড়া হচ্ছে বিএনপির মিছিলকে কেন্দ্র করে।'

২৮ অক্টোবরের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, 'সারা দেশের মানুষ জানে এখানে পুলিশের কর্মকর্তারা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। তারা প্রত্যক্ষভাবে এটার মধ্যে জড়িত ছিলেন এবং রয়েছেন।'

বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এই সরকারের জনসমর্থন নেই, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। এই কারণে তারা ভোটকে ভয় পায়। সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। নিজে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকারের মাধ্যমে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে ভয় পায়।'

Comments