ফার্মগেটে জোড়া ককটেল বিস্ফোরণ, আহতদের সম্পর্কে যা জানা গেল

তাদের একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং অপরজন সামিট গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার।
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণের পর মোটরসাইকেল আরোহী একজনের মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। ছবি: স্টার/শাহীন মোল্লা

রাজধানীর ফার্মগেটে আজ শনিবার সন্ধ্যায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দুজন মোটরসাইকেল আরোহী।

তাদের একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর এমদাদুল হক খান (৫৬) এবং অপরজন সামিট গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস শাহাদাত আলম (৩৮)।

আজ রাত ৯টার দিকে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহতরা জানান, তাদের বাসা মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডে। সন্ধ্যায় কারওয়ানবাজারে কাজ শেষ করে দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে বাসার দিকে রওনা হন। পথে ফার্মগেটে ফার্মভিউ মার্কেটের সামনের রাস্তায় তাদের পাশে পরপর দুটি বিকট বিস্ফোরণ হয়। এতে তাদের শরীরে আঘাত লাগে। আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আলরাজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ফার্মগেট থেকে ককটেল বিস্ফোরণে আহত দুজন হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তার মাথায়, ডান হাতে এবং অপরজনের ডান হাত ও বুকে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে।

আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ফার্মভিউ সুপারমার্কেটের সামনে ব্যস্ত সড়কে যানজটের মধ্যে পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধানে ককটেল দুটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

তবে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন জানান, উপর থেকে নিক্ষেপ করা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা ওই দুজন আহত হয়।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ।

বিস্ফোরণের পর ব্যস্ত রাস্তাটি ফাঁকা হয়ে যায়। রাস্তা ও ফুটপাতে থাকা লোকজন আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

ঘটনাস্থলের কাছেই থাকা দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, রাস্তা লক্ষ্য করে আশপাশের কোনো ভবন থেকে ককটেল দুটি ছোড়া হয়েছে। দ্বিতীয় ককটেলটি ওপর থেকে রাস্তায় পড়তে দেখেছেন তিনি।

Comments