১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত আজকালের মধ্যে: কাদের

obaydul_kader
ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজকালের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

১৪ দলের সঙ্গে গতকালের বৈঠক বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত দলীয় জোটের চেয়ারম্যানের বক্তব্যটাই তারা শুনতে আগ্রহী ছিলেন। তার কাছে অনেক বিষয়ই, জাতীয়-আন্তর্জাতিক, তারপরে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি—এসব বিষয় নিয়ে তাদেরও জানার আগ্রহ ছিল যে, জোটের চেয়ারম্যান ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী কী ভাবছেন। বাংলাদেশ নিয়ে বাইরে একটা খেলা আছে। কাজেই এটা নিশ্চয়ই প্রত্যেকের একটা স্বার্থ আছে। বাংলাদেশকে ঘিরে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলো এখানে, তাদের মধ্যেও একটা কোঅর্ডিনেশন আছে।

'এই বিষয়গুলো সময়ে সময়ে তারা আলাপ-আলোচনা করে এটাকে ব্যালেন্সড নীতি গ্রহণ করার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ (মত) পোষণ করেন। নেত্রী এখানে বাংলাদেশকে নিয়ে বাইরের স্বার্থের যে খেলা, এটা আজ নয়, বহুদিন আগে থেকেই আছে এবং এদেশে পঁচাত্তর ঘটে গেছে, তেসরা নভেম্বরও হয়েছে। বারে বারে তো হামলা আসছে। আমাদের মূল কথা হচ্ছে আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করব। সে ব্যাপারে আমরা সবাই একতম।'

কয়েক জায়গায় আওয়ামী লীগ মনোনীতদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রার্থিতা বাতিল গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কি নতুন কোনো দৃষ্টান্ত? প্রার্থিতা বাতিল তো প্রায় ইলেকশনেই এখানে-ওখানে দু-চারটা হয়। তো তাতে কী ক্ষতি হবে? প্রার্থিতা যদি যৌক্তিকভাবে নির্বাচন কমিশন বাতিল করে, তা আমরা তো সেটা নিয়ে কোনো আপত্তি করতে যাব না।

যেসব আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীতদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, সেসব আসন শূন্য থাকবে কি না, প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শূন্য এবার কোথাও থাকবে না।

দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের স্ট্র্যাটেজি। ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি। এটা তো ওপেনলি আমাদের চেয়ারম্যান বলে দিয়েছেন, জোটের চেয়ারম্যান, আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি। একাধিকবার তিনি বলেছেন। কাজেই ওই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন নতুন করে নেই।

জাতীয় পার্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে, কথা হবে।

গতকালের বৈঠকের পর ১৪ দলের নেতারা সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে কাদের বলেন, ১৪ দলের নেতারা সন্তুষ্ট কি না, এই খবরটা নেওয়ার দায়িত্ব সাংবাদিকদের।

কিন্তু বৈঠকে কী হয়েছে, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উই আর হ্যাপি। আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। খুব সুন্দরভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে। রাজনৈতিক যে গুরুত্বটা আমরা দিয়েছি, সেখানে ঐক্যের কোনো ঘাটতি নেই। এতে সবাই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের স্বার্থে, সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, সেটা অব্যাহত রাখতে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র স্বতন্ত্রের জায়গায় আছে। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে আমি যদি চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে চাই, সেটা কি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না?

যেই জায়গায় জাপার প্রার্থী থাকবে, সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রত্যাহার করবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ। এখন সিট ভাগাভাগির ব্যাপারটা আজকালের মধ্যে ফাইনাল হয়ে যাবে।

একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একতরফা নির্বাচনে যাওয়ার বিষয় নয়। যারা (এটা) বলে, তারা একতরফা বাধা দিচ্ছে। আমাদের একতরফা এই যে বাধা দিচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দল থেকে নির্দেশনা কী থাকবে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্বাচন চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করার কোনো সুযোগ নেই।

নৌকার প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, এক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্ত কী হবে, জানতে চাইলে কাদের বলেন, সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত। বাধা দেবে এমন কোনো, এটা তো নির্বাচনী আচরণবিধির বাইরে। নির্বাচনী আচরণবিধি তো লঙ্ঘন করতে পারবে না। পার্টির লোক হোক, যেই হোক, বাধা দেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

6h ago