মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধন

না. গঞ্জে বিএনপিপন্থী আইনজীবী লাঞ্ছিত, ৪ মহিলাদল কর্মী আটক

নারায়ণগঞ্জ
ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতা।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই ঘটনা ঘটে।

লাঞ্ছিত অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

মানববন্ধনটি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থক আইনজীবীরা এতে বাধা দিলে এটি পণ্ড হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাশে আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যানারে মানববন্ধনটি শুরু হয়। শুরুতে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক। তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা তাঁতিলীগের সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহসীন মিয়া আইনজীবী সমিতির ভবন থেকে বেরিয়ে মানববন্ধনটিতে বাধা দিয়ে ব্যানার ছিনিয়ে নেন। এ সময় জুয়েল ও মোহসীনকে দেখা যায় ওমর ফারুককে ধাক্কা দিতে দিতে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দিতে।

নারায়ণগঞ্জ
ছবি: স্টার

যদিও ঘটনাস্থলে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল। এই ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

এদিকে, ঘটনার কিছুক্ষণ পর আদালত চত্বর থেকে বিএনপির ৪ নারী কর্মীকে আটক করে ডিবি সদস্যরা। আটক নারীরা ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

এই বিষয়ে জেলা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, 'তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।'

নারায়ণগঞ্জ
ছবি: স্টার

অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মিথ্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। কিন্তু আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। মানবাধিকার দিবসে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিচার জাতির কাছে দিয়ে রাখলাম।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান ফেরদৌস জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, 'বার ভবনের সামনে বহিরাগতদের নিয়ে এক আইনজীবী রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। আইনজীবীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago