হত্যার হুমকির অভিযোগে জি এম কাদেরের জিডি, চুন্নু বললেন ‘জানি না’

‘হুমকি আমার ফোনেও একটা না, বহু আছে কিন্তু আমি পরোয়া করি না।’
হত্যার হুমকির অভিযোগে জি এম কাদেরের জিডি, চুন্নু বললেন জানেন না
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে এমন হুমকি পেয়েছেন জানিয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'জি এম কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল হান্নান পরশু দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে জিডি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, সপরিবারে হত্যা করা হবে হোয়াটস অ্যাপে এমন হুমকি পেয়েছেন জি এম কাদের।'

জিডির একটি অনুলিপি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে।

তাতে একটি মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর রাত ৪টা ৩ মিনিটে মেসেজ পাঠিয়ে জি এম কাদেরকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে সফল করার প্রয়াস থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই ব্যক্তির কথা মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত না থাকলে জাপা চেয়ারম্যান, তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের হত্যার হুমকি দেয়।

আজ দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ডিজির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, 'চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কোনো জিডি হয়েছে কি না আমি জানি না। তবে হুমকি আমার ফোনেও একটা না, বহু আছে কিন্তু আমি পরোয়া করি না।'

নিজের মোবাইল ফোন দেখিয়ে চুন্নু বলেন, 'অনেক হুমকি এখানে আছে; মেরে ফেলবে, এই করবে, ওই করবে—আমার কিছু যায়-আসে না। আমি জিডি করারও প্রয়োজন বোধ করছি না। কারণ নির্বাচনে যাব, এটা আমার রাজনীতি। আমি জিডি করব না, করা প্রয়োজন মনে করি না। বাংলাদেশের নাগরিক আমি, এ দেশে যুদ্ধ করেছি। কারও ভয়ে অন্তত পক্ষে আমি ভীত না।'

আপনার কাছে হুমকি এসেছে নির্বাচন করার নাকি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সরে যাওয়ার জন্য, করার জন্য না।'

গতকাল আপনাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বৈঠক হয়েছে, আজকেও বৈঠকের কথা শুনছি। কী নিয়ে বৈঠক জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, 'বৈঠক ৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে, নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে। আমরা একটা দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করব। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য দুই দলের প্রয়োজনে আমরা মাঝে মাঝে বসব।'

আপনারা আওয়ামী লীগকে তালিকা দিয়েছে নির্দিষ্ট করে কিছু আসন থেকে প্রার্থী সরিয়ে নেওয়ার জন্য; এটা কতটা সত্য জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, 'সব কৌশল প্রকাশ করা যাবে না।'

Comments