প্রশাসন বেশি নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করেছে: মেনন

প্রশাসন বেশি নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল ২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
প্রশাসন বেশি নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করেছে: মেনন
রাশেদ খান মেনন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

প্রশাসন বেশি নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল ২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

আজ মঙ্গলবার বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মেনন বলেন, 'নির্বাচন সম্পর্কে কথা হচ্ছে, আমি এটা স্পষ্ট বলতে চাই, আমি ১৯৭৩ সাল থেকে এ অঞ্চলে নির্বাচন করছি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমি এ অঞ্চলে ছিলাম না, আমার যেটা মনে হয়েছে, উজিরপুর-বানারীপাড়ার নির্বাচন উৎসবমুখর হয়েছে। নির্বাচনে কিছু উত্তেজনা থাকেই, কোনো সন্দেহ নেই। উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেনি, একেবারে খুনোখুনির পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার মতো হয়নি।'

তিনি বলেন, 'সবচেয়ে বড় কথা ন্যাশনাল এভারেজ যা, আমাদের এভারেজ তা। এখানে যেমন বাড়তিও নেই, আবার কমতিও নেই। উৎসবমুখরভাবে (ভোটাররা) অংশগ্রহণ করেছে। বরং আমি বলবো যে, প্রশাসন বেশি নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করেছে। আমি এটাও দেখেছি অনেক ক্ষেত্রে।

'যারা ভোট নিচ্ছিলেন, তাদেরকে আমি ধমকও দিয়েছি—আপনারা লোকজনকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না কেন! বলে যে, ছবি আর চেহারা (জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবির সঙ্গে ভোটারের চেহারা) মিলছে না। আমি বললাম, ২০ বছর আগের ছবি আর এখনকার চেহারা কি মিলবে? মিলবে না। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে,' বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, 'আমি মনে করি, প্রকৃতপক্ষে একটা সফল নির্বাচন আমরা করতে পেরেছি। ইট ওয়াজ আ চ্যালেঞ্জ; চ্যালেঞ্জ ফ্রম দ্য আউটসাইড (বহির্বিশ্ব), যেটা প্রধানমন্ত্রীও বলছেন। আমি আগেও বলেছি সংসদে। আমি বহু আগে বলেছি তাদের (পশ্চিমাদের) এই হস্তক্ষেপ কখনোই নির্বাচনকে অবাধ করার জন্য ছিল না, রেজিম চেঞ্জ (ক্ষমতার বদল) করাটা তাদের লক্ষ্য। এখনো তাদের লক্ষ্য রেজিম চেঞ্জ। সেই রেজিম চেঞ্জের লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়েছিল, কিন্তু দে ফেইল্ড (ব্যর্থ)। বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে সঠিকভাবে জবাব দিয়েছেন বলে আমি মনে করি।

'আর ইন্টারনালি (দেশের ভেতরে) বিএনপি-জামায়াত; বলবো যে, তারা মাটিতে শুয়ে পড়ে বলছে যে, আমরা মাটিতে পড়ি নাই। এটা তো হয় না! তারা অক্ষমতার প্রলাপ করছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। জনগণের কাছে তারা পরাজিত হয়েছে বলে আমি নিজে মনে করি,' যোগ করেন তিনি।

বরিশাল বিভাগ অনেক পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিভাগীয় শহর হিসেবে বরিশালের যেভাবে উন্নতি করার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। আমরা যদি রাজশাহীর দিকে তাকাই, আমরা যদি খুলনার দিকে তাকাই তাহলে কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এক সময় এখানকার প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে পারিনি বলে আমার মনে হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Khagrachhari violence leaves 3 dead

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

3h ago