সরকার বুলেট-বন্দুকের জোরে যা খুশি করছে: মঈন খান

‘আমরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিবর্তন চাই। যে পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরে যাবে।’
সরকার বুলেট-বন্দুকের জোরে যা খুশি করছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগ সরকার বুলেট-বন্দুকের জোরে যা খুশি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

আজকে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে—বিস্ময় প্রকাশ করে রাজনীতি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সরকার ভাবছে তারা খুব লাভবান হয়েছে। সরকার ক্ষমতায় আছে, এটা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি; গায়ের জোরে ক্ষমতায় তো থাকাই যায়! গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা যাবে না কেন? হাতে যদি বন্দুক থাকে, টিয়ার গ্যাস থাকে, হ্যান্ড গ্রেনেড থাকে, জল কামান থাকে তো ক্ষমতায় কেন থাকবে না!'

আওয়ামী লীগ কি জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আছে—প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, 'তারা কি জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আছে? ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে প্রহসনটা হয়েছিল, আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে সেই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে, বর্জন করেছে। তারা নীরবে বর্জন করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তো লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না, বিএনপিও লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। কাজেই সরকার তাদের বুলেটের জোরে, বন্দুকের জোরে যা খুশি করছে। আমরা নীরব প্রতিবাদ করছি। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র যদি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া হয়, সেটি অর্জন করার বা পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়াও হতে হবে শান্তিপূর্ণ। গায়ে জোরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে আমরা সেই নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।'

বিএনপি কোনো দিন ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিবর্তন চাই। যে পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরে যাবে। এ দেশে একটি সাজানো, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি সরকারের পরিবর্তে এ দেশে জনগণের সরকার আবার প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে, মানুষ তাদের ন্যূনতম অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। মানবাধিকার ফিরে পাবে। এ দেশে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্ন মতের কারণে যেন কোনো মানুষকে খুন করা না হয়, গুম করা না হয়।'

Comments