সব পণ্যের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে: কাদের

সব পণ্যের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, এখন কিছু পণ্যের দাম কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও যাতে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসে সে ব্যাপারে সরকারের চেষ্টার সামান্যতম কমতি নেই।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল একজন বিএনপি নেতা বলেছেন, সরকার নড়বড়ে হয়ে গেছে এবং যে কোনো সময় পতন হবে। এ জন্য তারা তাদের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে—একজন গণমাধ্যমকর্মী দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'তারা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র বলেছে ইন্ডিয়াকে। বলেছে, তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছো, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারেও সাহায্য করো। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে! আমাদের নির্বাচনও হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'বিএনপির বন্ধুপ্রতীম দেশের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার বিষয়। নির্বাচন ছাড়া তাদের অন্য কোনো বিদেশি শক্তি এসে সহযোগিতা করে ক্ষমতায় বসাতে এটা তো হতে পারে না। ক্ষমতায় বসানোর মালিক এ দেশের জনগণ। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব না।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা তো একটা দেশ এবং গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদেরও একটা মানদণ্ড আছে। আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা পারফেক্ট; পারফেক্ট কেউ না। আমরাও পারফেক্ট এই দাবি আমরা করি না। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি নির্বাচিত না হলে রক্তবন্যা বয়ে যাবে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজেই মানদণ্ড কোথায় কী সেটা বোঝা মুশকিল।'

বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এখানে গণতন্ত্রের কোনো চর্চা ছিল না। গণতন্ত্রের কোনো চেহারা আমরা দেখিনি। ২১ বছরে পরে গণতন্ত্র সংগ্রাম-আন্দোলন, আমাদের নেত্রী দেশে ফেরার পর গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার লড়াই করেছেন এবং সে সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।'

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তদারকি হচ্ছে। যে কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, এখন কিছু পণ্যের দাম কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও যাতে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসে সে ব্যাপারে সরকারের চেষ্টার সামান্যতম কমতি নেই। সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অপেক্ষা করুন; আমার মনে হয়, চেষ্টা করলে ফল পাওয়া যাবে।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপিকে আমরা ভাঙতে যাব কেন? আমাদের কি সমর্থনের ঘাটতি বা কোনো দুর্বলতা আছে যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি আমাদের পূরণ করতে হবে! আওয়ামী লীগের বহু লোক আছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা, আপনারা দেখেছেন গত নির্বাচনের সময় কী রকম ভিড়। এমনকি নারী সংরক্ষিত আসনেও। আওয়ামী লীগের তো এখানে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।

'বিএনএম সৃষ্টি; আমি বলেছি, নির্বাচনে আগে শত ফুল ফোটে। এটা আরেক ফুল ফুটেছে। তারা নির্বাচন করবে, নিবন্ধন নিয়েছে,' বলেন কাদের।

তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দিয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রকার সহযোগিতা বা আওয়ামী লীগের কোনো অনুরোধ ছিল না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো বিধিও আরোপ করেনি যে এটা করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago