প্রতিটি গ্রামে কমিটি গঠন করবে হেফাজতে ইসলাম

হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি আমরা ঈদের পর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের তৃণমূল নেতারা হতাশ এবং তাদের চাপেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
Hefajot.jpg

ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় দেশের প্রতিটি গ্রামে কমিটি গঠন করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বর্তমানে প্রতিটি কওমি মাদ্রাসায় কমিটি রয়েছে তাদের।

শুক্রবার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন হেফাজতের সিনিয়র নেতারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারীর প্রধান মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, হেফাজত প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে কমিটি গঠন করবে। এসব কমিটিকে 'নন-মাদ্রাসা কমিটি' হিসেবে অভিহিত করা হবে। আসন্ন ঈদের পর থেকেই এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

২০২২ সালে দেশে মোট ১৯ হাজার ১৯৯টি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী।

বৈঠকে হেফাজত নেতারা গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা জানান, সরকার বারবার গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির আশ্বাস দিলেও তার কথা রাখেনি।

হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকসহ গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কঠোর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি আমরা ঈদের পর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের তৃণমূল নেতারা হতাশ এবং তাদের চাপেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটিও ভারতীয় পণ্য বয়কট আন্দোলনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর প্রচারে তারা রাজপথে নামবে না।

ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানাতে সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা এবং লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus's 'Reset Button' call was not about erasing Bangladesh's proud history: CA office

He meant resetting the software, not the hardware created by 1971 Liberation War, statement says

1h ago