দুর্যোগে সরকারের উদ্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে: কাদের

দুর্যোগে সরকারের উদ্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

যে কোনো দুর্যোগে পূর্বাভাস দেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সরকার দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি গ্রহণে তৎপর থাকায় এবং যথা সময়ে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। যতটা আমরা জেনেছি, সাতক্ষীরা, বরগুনা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা ও নোয়াখালীর হাতিয়ায় ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। আমরা ছয়জনের নিশ্চিত মৃত্যুর খবর পেয়েছি।'

মৃতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে, অনেক চিংড়ি ঘের-ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। বৈদ্যুতিক লাইন-রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

দুর্যোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান কাদের।

তিনি আরও বলেন, 'পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা, রাস্তাঘাট, বৈদ্যুতিক সংযোগ মেরামতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা রাত জেগে দুর্যোগ মোকাবিলার সব প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেছেন, তদারকি করেছেন। উপকূলীয় এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশার খবর নিয়েছেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। আবহাওয়ার উন্নতি হলে অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন,' জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সরকার দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি গ্রহণে তৎপর থাকায় এবং যথা সময়ে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

'সার্বিকভাবে এ কথা প্রমাণিত, গত ১৫ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কারণে বাংলাদেশ আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের সাফল্য আজকে সারা দুনিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে, প্রশংসিত হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাংলাদেশের যে বাস্তবতা, ঝড়ে-জলোচ্ছ্বাসে-দুর্যোগে-বন্যায় এসব দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব পালনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি, সাহায্যের নামে ফটোসেশন করা। কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো এসেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক সাহায্য করেছেন এবং তিনি আমাদের সীমান্তকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন উদারভাবে। যেটা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তখনো আমরা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গাদের পাশে ছিলাম। তখন দেখা গেছে, তারা একদিন বড়জোর দুদিন তারা সেখানে লোক দেখানো ফটোসেশন করেছে।

'বিএনপি মানবিক কোনো আবেদন নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। আমরা অতীতে দেখেছি, তাদের কাজই হচ্ছে ফটোসেশন করা। রোজার মাসেও আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছি আর তারা ইফতার পার্টি করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের নীতিগতভাবেই অনেক পার্থক্য রয়েছে। মানবিক বিষয়গুলো তারা কখনো মানবিকভাবে দেখেছে বলে আমাদের জানা নেই,' বলেন কাদের।

Comments

The Daily Star  | English

Why Dhaka has become unliveable

To survive Dhaka, you need a strategy. Start by embracing the absurd: treat every crisis as a plot twist.

12h ago