দ্রব্যমূল্যে মানুষ দিশেহারা, খাবার জোগাড় করাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে: ফখরুল

দ্রব্যমূল্যে মানুষ দিশেহারা, খাবার জোগাড় করাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে: ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: ইউএনবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খাবার জোগাড় করাও এখন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) গত ১৫ বছরে দানবের মতো দেশ শাসন করে শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা কী? কোনো বাড়িতেই শান্তি নেই।'

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিন এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, 'গ্যাস, বিদ্যুৎ, শাক-সবজি, চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বেড়েছে; প্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করাও এখন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'মানুষ এখন বাচ্চাদের জন্য দুধ এবং ডিম কিনতে পারে না। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা এবং লাউ ১২০ টাকা। অবিশ্বাস্য অবস্থা!'

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বেশি। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে, তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। তারা গরুর মাংস কিনতে পারছে না, ইলিশ মাছ তো দূরের কথা! এমনকি দাম বেশি হওয়ায় তারা ভালো মানের সবজিও কিনতে পারছে না।'

তিনি আরও বলেন, 'ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশে সয়াবিন তেল বা পাম তেলের দাম অনেক বেশি।'

ফখরুল বলেন, 'আমরা সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি এবং এক কঠিন সময় পার করছি। পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে গত ১৫ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।'

দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় এ সময় বিএনপির নারী শাখার নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

8h ago