ফরিদপুরে কৃষক লীগ-বিএনপি নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় কৃষক লীগ ও বিএনপি নেতার সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্যকাইচাইল গ্রামে আজ বুধবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তারা আরও জানান, কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ সকালে তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সূত্র জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানতে চাইলে ইব্রাহিম বলেন, 'তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মাদ্রাসা বাজারে আমার ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জিন্নাহর শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসা বাজারে এসে আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালায়। ভাঙচুরের পাশাপাশি তারা লুটপাট করে।'

'আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আজ সকালে আবারও জিন্নাহর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে তারা পালিয়ে যায়,' বলেন তিনি।

ইব্রাহিমের দাবি, উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে লুটপাটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

যোগাযোগ করা হলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন জিন্নাহ সরদার। তিনি বলেন, 'আমি ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিমের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমার ও আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা ব্যাপক ভাঙচুর করে মালপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে।'

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিছু বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

7h ago