আগে গণহত্যার বিচার, পরে নির্বাচন: জামায়াতের আমির

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, 'গণহত্যার বিচার হতে হবে। বিগত সময়ে এবং ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিচার এ দেশে নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন প্রয়োজনে আরও পরে দেওয়া হোক।'

আজ শনিবার সুনামগঞ্জ শহরে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শফিকুর রহমান বলেন, 'ধোঁকাবাজির রাজনীতি যারা করবে তাদের মাধ্যমে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমাদের দেশের নেতারা বলে দেশের চেয়ে দল বড়। কিন্তু আমরা দেখি দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়। অনেকেই আমাদের পাসপোর্ট-ভিসা-টিকিট ছাড়াই অমুক দেশে তমুক দেশে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু তারাই এখন পালিয়ে গেলেন পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া।'

বিচার শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের আটক হওয়ার প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারককে কি আপনারা দেখেছেন? তিনি কলাপাতায় ঘুমিয়েছেন। এটা তার পরিণতি। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।'

শফিকুর রহমান আরও বলেন, 'আমাদের পেট বন্ধক দিয়েছি অন্য দেশে। মাথাও বন্ধক দিয়েছি কিনা আল্লাহ জানেন।  দেশের মেধাবীরা দেশ থেকে পড়াশোনার জন্য গেলে আর ফিরে না।'

জামায়াতের ইসলামী ক্ষমতায় যেতে পারলে শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা। বলেন, 'আমরা যে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলব, সে শিক্ষা হবে কর্মমুখী শিক্ষা।'

শফিকুর রহমান বলেন, 'আমাদের নেতারা মামলা বাণিজ্যর সাথে জড়িত না। কেউ যদি অপরাধ করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কিন্তু নিরীহ কাউকে হয়রানি করা যাবে না।'

সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির তোফায়েল আহমদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর উত্তরের আমির ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা শাখার আমির হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিশির মনির, সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির শামসউদ্দিন, প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Eid morning in 6 pictures

The morning of Eid-ul-Azha follows old, well maintained patterns

1h ago