তৌহিদুল ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত যৌথবাহিনী সদস্যদের বিচার চায় যুবদল-ছাত্রদল

মো. তৌহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ও ছাত্রদল। 

আজ শনিবার বিএনপির এই দুই সংগঠনের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনাকে 'হত্যাকাণ্ড' হিসেবে অভিহিত করে এর সঙ্গে জড়িত যৌথবাহিনীর সদস্যদের 'আইনের আওতায় আনার' দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন যৌথবাহিনী সদস্যরা। নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সেদিন রাত আড়াইটার দিকে সাদা পোশাকে যৌথবাহিনীর চার সদস্য তৌহিদুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান।

যুবদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইলেকট্রিক শক দিয়ে সদর উপজেলার ঝাঁকুনিপাড়ায় গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার রেখে যায়। সড়ক থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় পুলিশ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহতের শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন আছে, যা চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন। 

জড়িত যৌথবাহিনীর সদস্যদের বিচারের দাবি জানিয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো খুনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকতে পারে না।

যুবদলের মতে, এই ঘটনা শুধু একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডই নয়, এটি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চেতনা ও মানবাধিকারের প্রতি চরম অবহেলার প্রকাশ।

এদিকে আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে তৌহিদুলের মৃত্যুকে 'অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা' হিসেবে অভিহিত করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এর সঙ্গে জড়িত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Workers, parties oppose handover of Ctg container terminal to foreign operator

Constructed at a cost of Tk 2,000 crore, the terminal was completed by the Chittagong Port Authority in 2007

1h ago