‘ফেসবুক পোস্টের জেরে’ কুড়িগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

কুড়িগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় ফেসবুকে 'উসকানিমূলক' পোস্টের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।

রোববার রাতে উপজেলা শহরের কয়েকটি জায়গায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চর রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তসলিম উদ্দিন সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চর রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, রোববার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির ৫১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে চর রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাননি।

বিষয়টি নিয়ে রোস্তম মাহমুদের সমর্থক যুবদলকর্মী সহিদুল ইসলাম ফেসবুকে 'উসকানিমূলক ও ব্যঙ্গাত্মক' পোস্ট দেন। ওই পোস্টের জেরে রাতে রাজিবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেটের সামনে সহিদুলকে কিলঘুষি মারেন মোখলেছুরের সমর্থক কয়েকজন ছাত্রদলকর্মী। 

খবর পেয়ে রোস্তমের সমর্থকরা রাজিবপুর পাঁচ রাস্তা মোড়ে মোখলেছুর গ্রুপের কয়েকজনকে মারপিট করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মোখলেছুর গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে রাজিবপুর বাজারে যুবদল আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদ গ্রুপের ওপর হামলা করেন।

এ বিষয়ে চর রাজিবপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদ বলেন, 'আমি এলাকায় ছিলাম না। জুনিয়রদের মধ্যে হালকা হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তা গুরুতর নয়।'

এই এলাকায় বিএনপির মধ্যে কোনো 'বিভেদ নেই' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে 'এলাকার বাইরে থাকা' উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর তিনে শুনছেন। কিন্তু এর কারণ তিনি বলতে পারবেন না।

চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, আহত ৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সকলেই রক্তাক্ত আহত ছিলেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ইয়াকুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।'

চর রাজিবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) তসলিম উদ্দিন বলেন, পুলিশ তাৎক্ষনিক সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Interest rate on loans by sector

High interest rates threaten SME jobs, stability

Banks charge SMEs interest rates ranging between 13 and 15 percent, among the highest across all sectors except services.

9h ago