ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, ভাঙচুর-আগুন

ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

তারা আরও জানান, এদিন দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক আজিজুল শেখকে (৪০) কুপিয়ে আহত করে। এর জের ধরেই বিকেলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ছবি: সংগৃহীত

আজিজুল বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রামবাসী জানিয়েছেন, এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপর অংশের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্লা।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী উভয়পক্ষের মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। উভয়পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ সমর্থক কৃষক কবির শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে, জানান গ্রামবাসী।

জানতে চাইলে বেলায়েত মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি নেতার ছেলে মিন্টু মিয়া ও ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি টিটুল মিয়া আমার ও আমাদের অনেকের কাছে টাকা চাচ্ছে। আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে বলছে—এলাকায় থাকতে হলে টাকা দিয়ে থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে এসেছে আমাদের সমর্থক আজিজুল। তাকে আজ দুপুরে কুপিয়ে জখম করেছে। 

'মিন্টু মিয়ার সমর্থকরা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা কম হওয়ায় আজিজুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ খবর শোনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাই। পরে ওরা আমার এবং আমাদের সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, একজনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেছে,' বলেন বেলায়েত।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মিন্টু মিয়া বলেন, এলাকার পেঁয়াজ তোলার শ্রমিক সরবরাহের বিরোধ থেকে এই সংঘর্ষ, কারও কাছে চাঁদা চাওয়া হয়নি কিংবা চাঁদা চাওয়া নিয়ে মারামারি হয়নি।

'সংঘর্ষে আমার দলের অনেককে আহত করা হয়েছে। আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

'পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Students protest condemning brutal murder of trader near Mitford

Lal Chand, alias Sohag, was beaten and murdered in front of Mitford Hospital allegedly by rivals over dominance of scrap trade

2h ago