দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাচ্ছে জামায়াত: ইসি

সংবাদ ব্রিফিং করেন ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

দলীয় প্রতীক 'দাঁড়িপাল্লা'র সঙ্গে দলের নিবন্ধন ফেরত পেতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।

আজ বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'অতি সত্তর জামাতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফেরত পাবে। সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করছি।'

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে আমাদের কাছে একটি আবেদন করেছেন যে, তারা চান তাদের দাঁড়িপাল্লা যে দলীয় প্রতীকটি ছিল, সেই প্রতীকটিও যেন অন্তর্ভুক্ত হয়। এটা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছি।

'২০১৩ সালে জামায়াতের দলীয় নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীক ছিল, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন প্রজ্ঞাপনে নিবন্ধনের সঙ্গে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা দেওয়া হয়েছিল একই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট ধারাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।'

ইসি মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, ২০১৬ সালে আদালতের একটি ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্তের আলোকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাতিল করা হয়। এটি ছিল প্রশাসনিক পত্র, রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তদানিন্তন ইসি এটি পেয়েছিল। সেটার আলোকে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

'জামায়াতে ইসলামী ইসির কাছে যে আবেদন দিয়েছে, তার সঙ্গে একটি রিট পিটিশন ও তার আদেশও ইসির সামনে এসেছে। দাঁড়িপাল্লা যাতে কোনো প্রতীক হতে না পারে, যেহেতু এটা ন্যায় বিচারের প্রতীক, এই মর্মে একটি আপিল করা হয়েছিল। সে আপিলটা সেই সময় আদালত খারিজ করে দেন এবং বলেছেন, এটি নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করার কারণে কোনোভাবেই আদালতের মান ক্ষুণ্ন করবে না। ইসির জানামতে এই রায় এখনো বহাল আছে', বলেন তিনি।

তিনি জানান, এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জামাতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা যে দলীয় প্রতীকটি ছিল সেই প্রতীকটা ফেরত দেওয়া হবে। অর্থাৎ তারা তাদের দলীয় নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক ফেরত পাবেন।

বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৯টি প্রতীক তফসিলভুক্ত আছে। এটিকে বাড়িয়ে ১০০টি প্রতীক করা হবে বলে জানান ইসি।

এদিকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ ইস্যুতে আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পর বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে ইসি।

এ বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ জানান, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বুধবার কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেহেতু গেজেট বহাল রয়েছে, শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকারের। সেক্ষেত্রে নতুন কোনো পদক্ষেপ ইসির নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় নোটিফিকেশনেরর মাধ্যমে তথা তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় গেজেট পাবলিকেশনের মাধ্যমে। তাই আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট বহাল আছে। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আমরা তো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি যে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও এটি ব্যবহৃত হবে না। আমরা ওয়েট করব ঐকমত্য কমিশনের থেকে কোনো ফিডব্যাক আসে কি না। না থাকলে সে অনুযায়ী আমরা তখন একটা চিন্তাভাবনা করব।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

12h ago