প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির আলোচনার বিষয়বস্তু স্পষ্ট করার আহ্বান বিএনপির

প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মধ্যে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এই আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'সবাই এখন আমরা ধারণা করে নিচ্ছি, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা হয়তো তার মেসেজটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন।'
'এটা আমাদের ধারণা, আমরা জানি না সত্যি সত্যি এটা উনি কমিউনিকেট করেছেন কি না কিংবা এই পরামর্শ বা নির্দেশনা দিয়েছেন কি না। যদি উভয়পক্ষ থেকে বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা হয়, তাহলে আমরা আশ্বস্ত হবো,' বলেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে। সেই মেসেজটি তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অফিশিয়ালি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অথবা নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। সে জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাৎ হয়েছে।'
'আমরা আশা করেছিলাম—প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে অথবা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে প্রেসকে কিছু জানানো হবে যে, কী বিষয়ে আলাপ হলো, কী বিষয়ে বৈঠক হলো। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবারই বলা হয়েছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সেপ্টেম্বরের ভেতরে সমাপ্ত হয়ে যাবে। এমনকি প্রকিউরমেন্টের যাবতীয় কার্যক্রম তারা সেপ্টেম্বরের ভেতরে সমাপ্ত করতে পারবেন। এ রকম অনেক বক্তব্য আমরা শুনেছি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। জুলাইয়ের মধ্যে তারা সম্পন্ন করতে পারবেন সমস্ত প্রস্তুতি এ রকম কথাও আমরা শুনেছিলাম।'
'যেহেতু প্রকিউরমেন্ট প্রসিজার অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে এবং সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য তারা সকল কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছেন বা গুছিয়েছেন—সেই হিসেবে বলা যায় এই যে, সেপ্টেম্বর ইনাফ টাইম,' যোগ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, 'ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মোটামুটি সব দলই একমত, এ ব্যাপারে দ্বিমত হতে দেখিনি কাউকে। যদি তাই হয়, এই সময়ের ভেতরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান বা আয়োজন করা এটা এক প্রকার অসম্ভব। কারণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে গেলে কমপক্ষে ছয় মাসের বেশি সময় লাগে, এটা একটা হিউজ কর্মযজ্ঞ।'
'বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন, এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সুযোগই নেই। জাতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানই এখন নির্বাচন কমিশন এবং এই সরকারের প্রধান কাজ।'
Comments