বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে দেখবে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে চীন আরও গভীরভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে আজ সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'সার্বিকভাবে এই সফরের মাধ্যমে আমরা দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও উন্নততর ও ঘনিষ্ঠতর করার সুযোগ পেয়েছি যা আগামীতে আরও প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।'
তিনি আরও বলেন, 'চীনের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক ক্রমবর্ধমানভাবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে চীন ও আমাদের অভিন্ন অবস্থান বৈঠকগুলোতে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত হয়েছে।'
নির্বাচন সংক্রান্ত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে চীনের আশা প্রকাশের কোনো প্রয়োজন নেই। চীন আশা প্রকাশ করেছে যে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তারা আরও গভীর, দৃঢ়তার সঙ্গে, আন্তরিকতার সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে, প্রেমের সঙ্গে কাজ করবে।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশে তিস্তা প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি, যেখানে চীন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তিস্তা প্রোগ্রাম নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং আমাদের যা প্রয়োজন সেটি আমরা ব্যাখ্যা করেছি।'
'বিএনপি ভবিষ্যতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তিস্তা সম্পর্কিত চীনের প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখবে বলে চীনকে জানানো হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'চীন অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে এবং ঐকান্তিকতার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। মিয়ানমার সরকারকে তারা রাজি করানোর চেষ্টা করছেন, যেন খুব দ্রুত কাজটা হয়।'
'চীনের যথেষ্ট আগ্রহ আছে যে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখি। আমরা একচীন নীতি থেকে কখনো সরিনি। তাইওয়ানের একটা ট্রেড সেন্টার এখানে কয়েকদিনের জন্য করা হয়েছিল। তারপরে সেটাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এখান থেকে আমরা কখনো সরিনি,' বলেন তিনি।
Comments