হামলা-ভাঙচুর-বাধার পরও গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান

হামলা, ভাঙচুর ও বাধাদানের পরও গোপালগঞ্জে 'মুজিববাদ মুর্দাবাদ' স্লোগানে সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এসময় দলটির নেতারা গোপালগঞ্জে 'মুজিববাদের কবর রচনা'রও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এর আগে, আজ বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে স্থানীয় ২০০-৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সমর্থক।
তারা আরও জানান, হামলার সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যদের দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। এসময় সেখানে থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরাও দৌড়ে সরে যান।
হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় পুলিশসহ এনসিপির নেতাকর্মীরা এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
এর আগে, এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
দুপুর ২টার পর সমাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির নেতাকর্মীরা। মঞ্চে উঠেই এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ 'মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ' স্লোগান ধরেন।
এসময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমরা যুদ্ধের আহ্বান নিয়ে গোপালগঞ্জে আসিনি, গোপালগঞ্জের নামও বদলাতে আসিনি, আমরা শান্তি ও দেশ গড়ার আহ্বান নিয়ে এসেছি। নতুন বাংলাদেশে গোপালগঞ্জের মানুষের অধিকার যাতে রক্ষা করা যায়, সেই প্রতিশ্রুতি দিতে এসেছি।'
'আমাদের সমাবেশে আজ যারা হামলা করেছে, বাধা দিয়েছে, আমরা দ্বিগুণ গতিতে তাদের এর জবাব দেবো', বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'গোপালগঞ্জবাসী যারা এই গণভুত্থানের পক্ষে রয়েছেন, নতুন বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছেন, আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে, গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠতে না পারে। যদি পুলিশ-প্রশাসন ব্যর্থ হয়, নিজেদের রক্ষার দায়িত্ব, নিজেদের জেলার মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব, এমনকি বাংলাদেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে।'
Comments