সমন্বয়কদের মুক্তিসহ ৩ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন ৩ দাবি
শনিবার রাত ৮টার দিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এ ঘোষণা দেন। এ সময় আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও সহসমন্বয়ক রশিদুল ইসলাম রিফাত উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তিসহ তিনটি দাবি জানিয়েছে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার রাত ৮টার দিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এ ঘোষণা দেন। এ সময় আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও সহসমন্বয়ক রশিদুল ইসলাম রিফাত উপস্থিত ছিলেন।

তাদের দাবিগুলো হলো আজ রোববারের মধ্যে স্বাধীন কমিশন গঠন, সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, সহসমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ সব শিক্ষার্থীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং শিক্ষার্থী হত্যার সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী পর্যায় থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সব দোষীর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভার্চুয়াল ওই সম্মেলনে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, 'আমরা সারাদেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছি। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠিন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে নামব। আমরা পালিয়ে থাকব না। দাবি আদায় না হলে সোমবার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।'

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে তুলে নেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সাম্প্রতিক ঘটনার ব্যাপারে জানার জন্য তাদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জুনায়েদ আলম সরকার।

তিনি বলেন, 'আমরা গত দুই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করব।'

এর আগে গত ২০ জুলাই রাতে রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসা থেকে নাহিদ ইসলামকে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন নিয়ে বাসায় পৌঁছান নাহিদ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাহিদ তার ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।

আসিফ ও বাকের দুজনকেই ১৯ জুলাই তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকে তারা দুজন লেখেন যে তাদের চোখ বেঁধে ২৪ জুলাই হাতিরঝিল ও ধানমন্ডি এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে তাদের তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কেউ উল্লেখ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

28m ago