নারায়ণগঞ্জে গুলিবিদ্ধ ৯

এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি৷
ছাত্র-জনতার অবস্থান। ছবি: স্টার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জে হাজারো ছাত্র-জনতা পথে নেমে এসেছে। এতে শহর ও শহরতলীতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে৷

আন্দোনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ছররা গুলি ছুঁড়লে অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে।

এরমধ্যে ভাঙচুর করা হয়েছে চাষাঢ়ায় রাইফেলস্ ক্লাব, পুলিশ বক্স৷ রাইফেলস্ ক্লাবের ভেতরে আগুন দেওয়া হলেও তা ছড়ায়নি৷

এদিকে, ফতুল্লার শিবুমার্কেট এলাকায় কয়েকটি পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়া হলে বিসিকসহ সকল কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিকেএমইেএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম৷

শ্রমিকদের একটি অংশ দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালায়৷ কার্যালয়ের সামনে ডিসি থিম পার্কে আগুন দেয় তারা৷ পরে তারা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে গেলে জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন৷

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে৷ এছাড়া কার্যালয়ের সামনে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে৷ সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক৷

এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষের সময় অন্তত ৮ জন পুলিশের ছররা গুলির আঘাতে আহত হয়েছে। 

রোববার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চাষাঢ়ায় সড়কে নেমে আসে হাজারো শিক্ষার্থী৷ পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক ও সাধারণ জনতাও এতে যোগ দেয়৷

শহর ও শহরতলীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ বন্ধ৷ বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে৷ তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনকে সড়কে চলাচল করতে দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা৷

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেরও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটিতে সকাল সাড়ে দশটা থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷

Comments