‘পাঠকরা যতদিন পড়বেন, ততদিন আমার লেখা থাকবে’

ফকির আলমগীর্ ছবি: স্টার ফাইল ফটো

একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর সাধারণ-শ্রমজীবী মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন গান দিয়ে। ২৩ জুলাই তার প্রয়াণ দিবস।

গানের পাশাপাশি লিখতে ভালোবাসতেন। লেখালেখির সংক্রান্ত কাজে হঠাৎ হঠাৎ বাংলাবাজারে যেতেন। প্রকাশনী সংস্থা অনন্যা তার অনেকগুলো বই প্রকাশ করেছে। সেখানেই এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তার শেষ দেখা ও আড্ডা হয়েছিল।

সেদিনের আড্ডায় ছিলেন অনন্যার প্রকাশক মনিরুল হক।

'গান যেমন আমার নেশা ও সাধনা, একইভাবে লেখালেখিও আমার নেশা ও সাধনা। লিখতে ভালোবাসি। আমার বইগুলো আমার কাছে সন্তানের মতো,' বলেছিলেন ফকির আলমগীর।

কথায় কথায় তিনি আরও বলেন, 'বইগুলো থেকে যাবে। কেউ থাকবে না, কিন্তু লেখালেখি থাকবে। পাঠকরা যতদিন পড়বেন, ততদিন আমার লেখা থাকবে।'

সেদিন তার প্রকাশিত নতুন বইয়ের খোঁজ নিতে বাংলাবাজার গিয়েছিলেন ফকির আলমগীর। গল্পে গল্পে তিনি আরও বলেন, 'আমি তো গণসংগীতশিল্পীই। পাশাপাশি আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমি একজন লেখকও। এই যে, আজ নতুন বই দেখার জন্য ছুটে এসেছি। নতুন বই ছুঁয়ে দেখব। নতুন বই নিয়ে বাসায় যাব। এর চেয়ে আনন্দ কী আর আছে?'

কিছুক্ষণ পর প্রেস থেকে নতুন বই চলে আসে। ফকির আলমগীরের লেখা নতুন বই। বইটি হাতে নিয়েই তিনি চুমু খান। কিছু সময় চুপচাপ থেকে বইয়ের পাতা উল্টাতে থাকেন। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেন, তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠে।

ফকির আলমগীরের লেখা কয়েকটি বই হচ্ছে—দেশ দেশান্তর, সংস্কৃতিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্মৃতিকাব্যে প্রিয়মুখ, মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুরা, নির্বাচিত প্রবন্ধ, ইহরাম থেকে আরাফাত, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও লাল সবুজের পতাকা। তার সম্পাদিত বই—সুরমা নদীর গাংচিল।

Comments

The Daily Star  | English

Trump, Putin in Alaska to end Ukraine war

Donald Trump and Vladimir Putin flew to Alaska yesterday for a high-risk summit that promises a stern test of the US president’s promise to end the bloody war in Ukraine.

4h ago