ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজার ৬০টির বেশি মসজিদ ‘ধ্বংস’

বোমাহামলায় আল-সালাম মসজিদ ‘ধ্বংস’ হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াফা। যার ফলে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত নির্বিচার বোমাবর্ষণে গাজার মোট ৬০টি মসজিদ ধ্বংস করল ইসরায়েল।
ইসরায়েলের বিমানহামলায় বড় আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছে এই মসজিদটি। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের বিমানহামলায় বড় আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছে এই মসজিদটি। ছবি: রয়টার্স

গাজা শহরের সাবরা মহল্লার আল-সালাম মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার উত্তরাঞ্চলে এই বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

আজ সোমবার ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

বোমাহামলায় আল-সালাম মসজিদ 'ধ্বংস' হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াফা। যার ফলে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত নির্বিচার বোমাবর্ষণে গাজার মোট ৬০টি মসজিদ ধ্বংস করল ইসরায়েল।

আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী, যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও উপাসনার জায়গাগুলো ঐতিহ্যগত সম্পত্তি হিসেবে বিশেষ সুরক্ষা পাওয়ার কথা।

ইসরায়েলের বিমানহামলায় ধ্বংস হয়েছে মসজিদ ও বাড়িঘর। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের বিমানহামলায় ধ্বংস হয়েছে মসজিদ ও বাড়িঘর। ছবি: রয়টার্স

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস হামলা চালালে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন প্রায় ২০০ ইসরায়েলি ও বিদেশী নাগরিক। এর পর থেকে প্রায় ৩৬ দিন ধরে গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচার ও প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

এসব হামলায় প্রায় ১১ হাজার ৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের ৪০ শতাংশই শিশু।

শুক্রবারের পর মৃতের সংখ্যার হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেশিরভাগ হাসপাতালের যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বসে যাওয়ায় সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) গাজাকে 'নিরস্ত্রীকরণ' করতে ও সেখানকার 'উগ্রবাদ' নির্মূলে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে যুদ্ধের পর এর নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গতকাল রোববার সিএনএনের ডানা বাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

নেতানিয়াহু বলেন, 'ইসরায়েলের প্রথম অগ্রাধিকার হলো হামাসকে ধ্বংস করা। একবার সেটি করা গেলে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান এড়াতে সেখানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে।'

 

Comments