গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১১

জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ধ্বংস্তুপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মী ও শিবিরের বাসিন্দারা। ফাইল ছবি: রয়টার্স  (১৪ নভেম্বর)
জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ধ্বংস্তুপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মী ও শিবিরের বাসিন্দারা। ফাইল ছবি: রয়টার্স (১৪ নভেম্বর)

গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির আল জাবালিয়া আবারও আক্রান্ত হয়েছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ এই হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর গাজার এই শরণার্থী শিবিরে বিমানহামলার ঘটনা ঘটে। এর আগেও এই শিবিরে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

আল জাজিরার সাংবাদিক দিমিত্রি মেদভেদেনকো জানান, শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মীরা কুড়াল ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। যাদের কাছে কোনো সরঞ্জাম নেই, তারা খালি হাতে পাথর সরানোর চেষ্টা করছেন।

তিনি মন্তব্য করেন, আটকে থাকা মানুষদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। দুই দিনের হামলায় অন্তত ১৯৫ জন নিহত ও ৭৭ জন আহত হন।

সে সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তারা এই শিবিরের বিরুদ্ধে হামলা 'যুদ্ধাপরাধ' হতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন।

নভেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বলেন, 'জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমানহামলার পর যে পরিমাণ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং যত বড় আকারে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই হামলা মাত্রা ছাড়িয়েছে এবং একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।' হাই কমিশনারের কার্যালয়ের এক্স একাউন্টে এই বার্তা পোস্ট করা হয়।

জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসযজ্ঞ পর্যবেক্ষণ করছেন বাসিন্দারা। ফাইল ছবি: রয়টার্স  (১৪ নভেম্বর)
জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসযজ্ঞ পর্যবেক্ষণ করছেন বাসিন্দারা। ফাইল ছবি: রয়টার্স (১৪ নভেম্বর)

গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, ইসরায়েল এখন আর 'নির্বিচার' বোমাবর্ষণ করছে না, বরং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে।

এই যুক্তির মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক অর্থে স্বীকার করেছেন, গত প্রায় ৪০ দিন ইসরায়েল গাজার ওপর 'নির্বিচার হামলা' চালিয়েছে।

সশস্ত্র ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা এক হাজার ৪০০ দাবি করেছিল দেশটি। ২০০ ব্যক্তিকে জিম্মি করে হামাস (শুরুতে সংখ্যাটি ২৪০ বলা হয়েছিল)।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় প্রতিশোধমূলক ও নির্বিচার বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিছুদিন পর এতে যোগ দেয় স্থলবাহিনী। প্রায় ৪০ দিন ধরে চলমান হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
narcotics cases pending despite deadline

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago