ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি ২ দিন বাড়ছে: কাতার

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আজ সোমবার রাতে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানো হবে বলে এ দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারী কাতার জানিয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আজ সোমবার রাতে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মাজেদ আল আনসারি এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, 'কাতার ঘোষণা করছে যে, চলমান মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে, গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।'

কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল, হামাস ও যুক্তরাষ্ট্র চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে বলে এর আগে দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে।

আলোচনা শেষে চুক্তিতে পৌঁছানোর পর হামাস একটি বিবৃতিতে জানায়, 'হামাস ঘোষণা করছে যে, কাতার ও মিশরের ভাইদের মাধ্যমে অস্থায়ী মানবিক যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিনের জন্য বাড়াতে একটি চুক্তি হয়েছে। আগের শর্তেই এই যুদ্ধবিরতি চলবে।'

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের মধ্যে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

শুক্রবার থেকে এ ৪ দিনে হামাস ৫৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১১৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ সিএনএনকে বলেন, 'যুদ্ধবিরতি চুক্তিতেই এর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ দেওয়ার কথা বলা আছে। তাই বাকিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।'

গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন বলেও সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার অঙ্গীকার নিয়ে টানা সাত সপ্তাহ ধরে গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ও প্রতিশোধমূলক স্থল-বিমান হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের ৪০ শতাংশই শিশু।

 

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago